রুবেল এখনো অধরা

কারাগারে ফায়ার সার্ভিসের তল্লাশি দেয়াল টপকে পালিয়েছে, ধারণা তদন্ত কমিটির

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৯ মার্চ, ২০২১ at ৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিখোঁজ হাজতি ফরহাদ হোসেন প্রকাশ রুবেলের খোঁজে গতকাল দিনভর কারা অভ্যন্তরে তল্লাশি চালিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। কারাগারের ড্রেন ও সেপটিক ট্যাংকগুলোতে দমকল কর্মীরা তল্লাশি চালান। আজ মঙ্গলবারও একইভাবে তল্লাশি চালানোর কথা রয়েছে। তবে রুবেলে নিখোঁজের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ধারণা করছে, সে কারাগারের দেয়াল টপকে পালিয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান খুলনা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. ছগীর মিয়া আজাদীকে বলেন, আমরা ধারণা করছি রুবেল কারাগারের থাকা ফাঁসির মঞ্চের পাশের দেয়াল টপকে পালিয়েছে। সোমবার আমরা কারাগারের সিসিটিভি ফুটেজগুলো সংগ্রহ করেছি। প্রায় ৪৮টি সিসিটিভি রয়েছে কারা অভ্যন্তরে। সবগুলোর ফুটেজ চেক করে দেখতে অনেক সময় প্রয়োজন। তিনি বলেন, ৫.১৬ মিনিটের একটি ফুটেজে দেখা গেছে রুবেল ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে হেঁটে নিচে নামছে। কিন্তু পরে কোথায় গেছে সেটা আর খোঁজে পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম প্রসঙ্গে মো. ছগির মিয়া বলেন, যেহেতু সোমবারের তল্লাশিতে তেমন কোনো অগ্রগতি ছিল না, তাই মঙ্গলবারও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কারা অভ্যন্তরে তল্লাশি চালাবেন। আশা করছি, দ্রুত আমরা সমাধানে যেতে পারব। গতকাল কারা অধিদপ্তরের তদন্ত টিম ছাড়াও কারাগার পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার আজাদীকে বলেন, আমরা প্রথম দিন কারাগার পরিদর্শন করেছি। সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেছি। আশা করছি নির্ধারিত তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করব।
ফরহাদ হোসেন প্রকাশ রুবেল নিখোঁজ হওয়ার সেই ঘটনায় গত রোববার জেল সুপার মো. রফিকুল ইসলাম ও ডেপুটি জেলার আবু সাদ্দাতকে প্রত্যাহার করেছে কারা অধিদপ্তর। এছাড়া সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে কারারক্ষী নাজিম উদ্দিন ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী ইউনুছ মিয়াকে। আরেক সহকারী প্রধান কারারক্ষী কামাল হায়দারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। একই সাথে ঘটনা তদন্তে খুলনা বিভাগীয় ডিআইজি প্রিজন ছগির মিয়াকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। যেখানে বি বাড়িয়ার জেল সুপার ইকবাল হোসেন ও বান্দরবানের জেলার ফোরকান ওয়াহিদকে সদস্য করা হয়েছে। একই দিন এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. সুমনী আক্তারকে আহ্বায়ক এবং পুলিশের (উত্তর) এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. মাজহারুল ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে। এর আগে শনিবার রাতে রুবেল নিখোঁজের ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা করেছিলেন জেল সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজুয়েলারি থেকে কোটি টাকার স্বর্ণ নিয়ে পালাল কর্মচারী
পরবর্তী নিবন্ধ৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড