মেঘের ধূসর ডানা নেমে আসে শুয়ে থাকা পৃথিবীর বুকে
সফেদ চাদর গায়ে যাত্রীহীন রাত্রি কাটে তন্বী নদীটির
শুনশান নীরবতা; হিম শিশিরে স্নান করা লক্ষ্মীপেঁচাটি
লাউমাচা, শিমলতা, ছুঁয়ে দিয়ে উড়ে যায় নীরব সোহাগে
জোনাকির মৃদু আলো লিখে রেখে যায় বিষণ্ন পঙক্তিমালা
হিম বিছানায় উষ্ণতা খুঁজছে তুলতুলে দুইটা বালিশ
গাঢ় নিশ্বাস, কত স্বপ্নের প্রজাপতি খেলেছে এ বিছানায়
প্রতারণার নগ্ন খেলায় নিষ্প্রাণ বিছানাটির দীর্ঘশ্বাস
পৌষের রাতে কার হৃদয় তোলপাড় করছে জানে না কেউ
দূর্বাঘাসে ভোরের শিশির কার ছোঁয়ার যেন প্রহর গুনে
সোনালি রোদ্দুর গায়ে মাখতে আসে না এলোকেশী বিরহিণী
শীতল বাতাসে উড়ছে ডায়েরিতে লিখে রাখা নীলাভ কষ্ট
নির্জন দুপুর ভাতঘুম দিয়ে জাগে পাখিদের কোলাহলে
নির্বাক হয়ে গেছে পাখিদের সাথে গল্প করার মানুষটি
অবহেলার চাষে তার হৃদয়ের বাগানে ধরেছে পচন
ঝরাপাতার মতো সকল আবেগ ঝরে পড়ে যায় নীরবে
শীতের রিক্ততা থমকে আছে সেই বিরহিণীর চোখে মুখে
কুঁকড়ে যায় সময়, তুষার বুকে পায় না সে একটু ওম
দূরের পথ দিয়ে ঋতুরা চলে যায়, বসন্ত আর আসে না।