‘রায় ঘোষণা হবে’ শুনে কাঠগড়া থেকে পালানোর চেষ্টা, পুলিশের হাতে ধরা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৯ মে, ২০২২ at ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ

ধার্য তারিখে হাজির ছিলেন না। স্বাভাবিকভাবেই ইস্যু হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। সেই পরোয়ানামূলে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তা নাকচ করে এবং সংশ্লিষ্ট মামলায় তাৎক্ষণিক রায় ঘোষণার কথা বলেন। এ সময় আসামি মো. নুরুল আবছার কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। ‘রায় ঘোষণা হবে’ এমন কথা শুনে তিনি পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে তিনি সফল হননি, পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। আসামি মো. নুরুল আবছার সীতাকুণ্ড থানার ভাটিয়ারি এলাকার মৃত আহমেদুর রহমানের ছেলে। গতকাল চট্টগ্রামের ১ম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে। এ আদালত থেকে এর আগে গত বছরের মে মাসে আরেক আসামি পালিয়ে যায়। এখনো পর্যন্ত যার খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুদ্দিন পারভেজ বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে আজাদীকে বলেন, এনআই এ্যাক্টের একটি মামলায় পরোয়ানামূলে হাজির হয়ে মো. নুরুল আবছার জামিন চাইলে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন। সেই সাথে মামলায় তাৎক্ষণিক রায় ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু পরক্ষণেই মো. নুরুল আবছার লাপাত্তা। পালানোর চেষ্টা করে তিনি প্রথমে কাঠগড়া থেকে এবং পরে রুম থেকে বের হয়ে হাওয়া হয়ে যান। তবে তিনি পালাতে পারেননি। পুলিশি চেষ্টায় অবশেষে তিনি ধরা পড়েছেন। সাইফুদ্দিন পারভেজ বলেন, একপর্যায়ে তার উপস্থিতিতেই আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তাকে একবছরের সাজা ও মামলার সমপরিমাণ অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

আদালতসূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর মো. খায়রুল আজম নামের এক ব্যক্তি মো. নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজহারে তিনি উল্লেখ করেন, পাওনা টাকা বাবত মো. খায়রুল আজম তাকে ২৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার একটি চেক দিলে তা ন্যাশনাল ব্যাংক ভাটিয়ারি শাখায় ডিজঅর্নার হয়। যা নেগোশিয়াবল ইন্সট্রুমেন্ট এ্যাক্টের (এনআই এ্যাক্ট) ১৩৮ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আদালতসূত্র আরো জানায়, এ মামলায় মো. নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন বিচারক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে এবার উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে চাঁদা দাবি
পরবর্তী নিবন্ধখেলতে গিয়ে শঙ্খ নদীতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু