চন্দনাইশে এবার উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে চাঁদা দাবি

পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | সোমবার , ৯ মে, ২০২২ at ৫:২২ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুল জব্বার চৌধুরীর মোবাইল ফোনে সন্ত্রাসীরা একাধিকবার কল করে চাঁদা দাবি করেছে বলে তিনি চন্দনাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছেন। অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের দুইল্যাছড়িতে মাছের প্রজেক্ট ও খামার বাড়ি এবং চৌঘাটায় লেবু, ড্রাগন, আমসহ বিভিন্ন ফলের বাগান রয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরীর।

বিগত কয়েক মাস ধরে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন নম্বর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করে বড় অংকের চাঁদা দাবি করে আসছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা প্রাণনাশের হুমকিসহ ভয়ভীতিও প্রদর্শন করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ২৯ এপ্রিল রাতে কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড চৌঘাটা এলাকার বাগান বাড়িতে ২০ থেকে ৩০ জন পাহাড়ি সন্ত্রাসী আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে বিভিন্ন মালামাল পুড়ে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। পরদিন ৩০ এপ্রিল রাতেও তার একই ওয়ার্ডের দুইল্যাছড়িতে মাছের প্রজেক্টের স্টোর রুমে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা।

এ সময় স্টোর রুমে রক্ষিত মাছ ধরার বড় জাল ও মাছের খাদ্যসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এ দিন বেশ কয়েকটি নম্বর থেকে ফোন করে তারা সন্তু লারমা গ্রুপের সদস্য পরিচয় দিয়ে তাদের সাথে লিয়াঁজো করতে বলে। অন্যথায় চেয়ারম্যান ও তার লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী জানান, পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের উপর্যপুরি হুমকিতে তিনি এবং তার লোকজন বর্তমানে আতংকিত হয়ে পড়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি বাদি হয়ে ২০/৩০ জন পাহাড়ি সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে গত ১ মে চন্দনাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন। তিনি বলেন, পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন বাগান মালিকদের কাছ থেকেও মাসোহারা আদায় করছে। তাদের ভয়ে বাগান মালিকরাও এখন আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন উপজেলা চেয়ারম্যানের ডায়েরি করার কথা জানিয়ে এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ৯ মার্চ হাশিমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হাশিমপুর নাসির মোহাম্মদপাড়াস্থ বরুমতি খাল এলাকায় সাইডে কাজ করার সময় একদল পাহাড়ি সন্ত্রাসী মোজাম্মেল হক নামে ১ ঠিকাদারকে অপহরণ করে এবং ৬ দিন পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণে তিনি ছাড়া পেয়েছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজরিমানা ও শুল্কসহ আদায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা
পরবর্তী নিবন্ধ‘রায় ঘোষণা হবে’ শুনে কাঠগড়া থেকে পালানোর চেষ্টা, পুলিশের হাতে ধরা