জরিমানা ও শুল্কসহ আদায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা

মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৯ মে, ২০২২ at ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

ঢাকার বংশালের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স এনবি ট্রেডিং হাউজ চীন থেকে কোটেড ক্যালসিয়াম কার্বনেট ঘোষণায় ১২০ টন ডেক্সট্রোজ মনোহাইড্রেট নিয়ে আসে। মিথ্যা ঘোষণায় এসব পণ্য আমদানির মাধ্যমে আমদানিকারক ৪২ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছে। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির দায়ে আমদানিকারককে ৮৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। আটক চালানটি জরিমানাসহ অতিরিক্ত শুল্ক আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ ১৬ হাজার ৬২৫ টাকা। গতকাল চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার উপ-কমিশনার মো. শরফুদ্দিন মিঞা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এআইআর শাখা সূত্রে জানা গেছে, চীনের কিংডাও বন্দর থেকে গত ১৮ মার্চ পণ্য চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। পরবর্তীতে ৩০ মার্চ চালানটি খালাসের জন্য আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নগরীর আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোড এলাকার এমএন এন্টারপ্রাইজ বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে, যার নম্বর সি-৫৯৯৮৮১। এর আগে চালানটি আমদানির জন্য বেসিক ব্যাংকে ঋণপত্র (এলসি) খোলে। তবে চালানে কাস্টমস কর্মকর্তারা আমদানিকারকের ব্যবসায়িক ধরনের সঙ্গে মিল না থাকায় মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির বিষয়ে ধারণা পান।

এরপর চালানটির খালাস স্থগিত রাখতে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি লক করে দেয় এআইআর শাখা। পরবর্তীতে ৬ এপ্রিল চালানটি বন্দরের ভেতরে খুলে এআইআর টিম পরীক্ষা করে দেখতে পায়, প্যাকেটের গায়ে সাদা কাগজে ‘কোডেট ক্যালসিয়াম কার্বনেট’ লেখা। কিন্তু বস্তা খোলার পর সাদা পলিথিনের বস্তায় লেখা রয়েছে ‘ডেঙট্রোজ মনোহাইড্রেট’। চালানের ঘোষণা অনুয়ায়ী শুল্ক কর ছিল ৬ লাখ ৮২ হাজার ৭৩৩ টাকা। কিন্তু আনুমানিক শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ছিল ৫৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। পরে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অপরাধে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ৮৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার উপ-কমিশনার মো. শরফুদ্দিন মিঞা বলেন, আটক চালানটিতে পাঁচটি কন্টেনারে ৪ হাজার ৮০০ বস্তা পণ্যের শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। কায়িক পরীক্ষায় দেখা যায়, ব্রাউন কালারের বস্তাগুলোর ওপর আঠা দিয়ে সাদা কাগজে প্রিন্ট করে কোটেড ক্যালসিয়াম কার্বোনেট লেখা লাগানো রয়েছে। কিন্তু বস্তা খোলার পর সাদা পলিথিনের বস্তায় ঘোষিত পণ্যের পরিবর্তে ডেঙট্রোজ মনোহাইড্রেট পাওয়া যায়।

চালানটিতে হিসাব অনুযায়ী ৪২ লাখ ১৩ হাজার টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে মিথ্যা ঘোষণার জন্য ৮৮ লাখ টাকা জরিমানা হয়। আমদানিকারকের কাছ থেকে জরিমানা ও শুল্ককরসহ মোট ১ কোটি ৩০ লাখ ১৬ হাজার ৬২৫ টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে এবার উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে চাঁদা দাবি