ভারতে গ্যাংস্টার ধারার গল্পকে সামনে নিয়ে এসেছিলেন রাম গোপাল ভার্মা। তার ‘সত্য’ পার করেছে দুই দশক। সিনেমাটা নিয়ে শঙ্খায়ন ঘোষ নামে একজন মুভি জার্নালিস্ট রাম গোপাল ভার্মার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। সেই সাক্ষাৎকারের কিছুটা এখানে থাকল। এটা বাংলা ভাষায় তার প্রতি আমার ট্রিবিউট। সঙ্গে একটি তথ্যও জানাচ্ছি। সিনেমায় সত্য একজন গ্যাংস্টার। কিন্তু এটা আসলে একটা মেয়ের নাম; যে মেয়েটাকে রাম গোপাল ভার্মা ভালবেসেছিলেন।
ওয়ার্ড অব মাউথ
প্রথমদিন এটার ওপেনিং ছিল ৩০%। প্রযোজক ভারত শাহ আমাকে ফোন করে বলেছিল, ‘রামু, সিনেমার ওপেনিং ভালো হয়নি। এখন সামনে কী হয় তা দেখতে হবে’। তারপর ভারত শাহ আবার আমাকে ফোন করল। বললো, ‘রামু, সিনেমা থিয়েটার থেকে নামবে না’। এটার টিকেট ব্ল্যাকে ১০০ রুপি করে বিক্রি হচ্ছিল। এটা হলে টানা ৩০ সপ্তাহ ধরে চলেছে।
ফ্ল্যাশব্যাক
আমার কাছে জেমস হ্যাডলি চেজের একটা উপন্যাস ছিল। ‘মাই লাফজ কামজ লাস্ট ইন মাইন্ড’। আমি ততদিনে এটা নিয়ে তেলুগু ভাষায় সিনেমা বানিয়ে ফেলেছি। এটা ছিল ফ্লপ, তবে আমি আমার ভুলগুলো বুঝতে পেরেছিলাম। তাই আমি আবারও গল্পটা বেছে নিলাম।
মুম্বাই
আমি সবসময় মুম্বাইয়ের অতি দারিদ্রতা, অতি ধনী, ব্যয়বহুল গাড়ি দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আমি শেঠিয়া বিল্ডিংয়ের দিকে তাকাতাম। এত নোংরা সিঁড়িটি দেখে মনে হত যে কোনো সময় পড়ে যাচ্ছে। কিন্ত আপনি যদি ভেতরে যান, দেখবেন এটি অতি বিলাসবহুল। গোপনীয়তার মধ্যে গোপনীয়তা রয়েছে। কিন্তু কেউ জানে না কি ঘটছে।
আন্ডারওয়ার্ল্ড
আমার মনে আছে আমি যখন প্রথমবার ‘ডি কোম্পানি’ নামটি শুনি। কিন্তু তারও আগে আমি হাজী মাস্তান নামে এক স্মাগলারের নাম শুনেছি। ৯৩’ সালের ব্লাস্টের কারণে আন্ডারওয়ার্ল্ড ব্যাপারটা সামনে চলে এসেছে। সবাই এটা নিয়ে আলোচনা করতো। বিশেষ করে এর সঙ্গে ডি কোম্পানি যুক্ত থাকার কারণে। আমি আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ে কিছু করতে চাইছিলাম।
শেষ কথা
ইন্ড্রাস্ট্রি সবসময় তুলনা করতে চায়। সত্যর জন্য সেই সময় এমন কোনো মানদণ্ড ছিল না। ওই সময় একজন বিখ্যাত পুলিশ অফিসার আমাকে বলেছিল, আপনার অবশ্যই ওদের সাথে যোগাযোগ আছে।
না-হলে কোনো সিনেমার ভেতর এতটা বাস্তবতা থাকা অসম্ভব।