রাজনৈতিক দলগুলোর সহাবস্থান জরুরি

তাওহীদুল ইসলাম নূরী | রবিবার , ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৮:০৩ পূর্বাহ্ণ

বিজয়ের অর্ধশত বছর পার হলেও দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহাবস্থান, শ্রদ্ধা এবং ভিন্নমতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পর্যন্ত সম্মান প্রদর্শন করতে খুবই কম দেখা যায়। প্রত্যেকটি দলই স্বীকার করে মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। কিন্তু, অনেক সরকারের সময়ে ভিন্ন দল ও মতের মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে অসম্মান করতে দেখা গেছে। বলা যায়, আমাদের দেশে যদি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি পরস্পরের মাঝে শ্রদ্ধা, সম্মান ও ছাড় দেয়ার মানসিকতা থাকত তাহলে আমরা অনেক আগেই আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারতাম।

প্রতিটি দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহাবস্থানের উপর দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বও নির্ভরশীল। স্বাধীনতা অর্জনের পর প্রাকৃতিক, খনিজ এবং পর্যটনে সমৃদ্ধ হওয়ার পরও অনেক দেশ শুধুমাত্র রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রত্যাশিত সমৃদ্ধির মুখ দেখে নি। আমাদের দেশে বর্তমানে এক দলকে অপর দলের ঠুনকো বিষয়গুলো নিয়ে কাঁদা ছুঁড়াছুড়ি করতে দেখা যায়, জাতীয় সংসদে পর্যন্ত অন্য দলের নেতৃবৃন্দের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেও দেখা গেছে অনেক সাংসদকে। কয়েক দিন পর পর ছোট কাট ইস্যু তৈরি এবং সেই ইস্যুতে মাঠ গরম যেন এক ধরনের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ, কোনও সভ্য দেশে এসব কখনো কাম্য নয়। ভিনদেশীরা এই দুর্বলতাগুলোকে কাজে লাগিয়ে দেশের অনেক স্বার্থ নষ্ট করে ওরা নিজদের ফায়দা লুঠে নেয়। একসময় দেশের স্বাধীনতাসার্বভৌমত্ব রক্ষাও কাল হয়ে যায়। তাইতো, ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তস্নাত লালসবুজের পতাকা শোভিত বাংলাদেশের প্রতি ইঞ্চি মাটির স্বাধীনতাসার্বভৌমত্ব রক্ষায় সকল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহাবস্থান বর্তমানে একান্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাগজের সংকট মোকাবিলায় পোস্টারের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধতিক্ত অভিজ্ঞতা