রাঙ্গুনিয়ায় ৫ মামলার আসামি মফিজ নিহত

প্রকাশ্যে প্রতিপক্ষের গুলি

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ১০ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়ায় প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করেছে মো. মফিজ (৪৫) নামে এক সন্ত্রাসীকে। তিনি উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড গঞ্জম আলী সরকার বাড়ির আবদুর রহমানের ছেলে। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে নিহত মফিজের বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে দুটি মোটরবাইক জব্দ করেছে পুলিশ। পরে তারা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ‘দুই জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলে করে মফিজের বাড়ির সামনে এসে তাকে দুটি গুলি করে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় তারা মোটরসাইকেল দুটি ফেলে রেখে যায়।
নিহত মফিজের স্ত্রী লাভলী আকতারের দাবি, একই এলাকার সন্ত্রাসী কামাল ও তাঁর ভাই তোফায়েলসহ কয়েকজন যুবক দুটি মোটরসাইকেলে করে এসে প্রকাশ্যে মুফিজকে গুলি করে।’
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মো. মাহাবুব মিল্কী বলেন, ‘নিহত মফিজের বিরুদ্ধে ডাকাতি, মারামারি ও অস্ত্র আইনে ৫টি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় ৫ বছর জেলে ছিল। পরে জামিনে বেরিয়ে আসে। অভিযুক্ত তোফায়েল ও কামালের বিরুদ্ধেও হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র, মারামারিসহ ৮ থেকে ৯টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তারা বেশ কয়েকবার জেলেও গিয়েছিল। জামিনে বেরিয়ে আবারও এলাকায় নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।’
ওসি বলেন, মফিজের নিজের একটি গ্রুপ আছে, যারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। আবার একই গ্রামে তোফায়েল নামে একজন সন্ত্রাসী আছে। তারও একটা গ্রুপ আছে। মফিজ গ্রুপ ও তোফায়েল গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। এর আগে মফিজের বড় ভাই ইদ্রিস এবং তোফায়েলের ভাই ওসমানও খুন হয়েছে। তাদের মধ্যে খুনোখুনি-মারামারি লেগে আছে। মফিজকে খুনের পেছনে তোফায়েল গ্রুপ জড়িত বলে আমাদের ধারণা। লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয়েছে দুটি মোটরসাইকেল। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
এই ব্যাপারে সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জব্দ করা মোটরসাইকেলের সূত্র ধরে হত্যাকারীদের সহজে চিহ্নিত করা যাবে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনলে এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৩৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধস্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনের ৫০ বছর