রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপি জামায়াতের ২১৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুই মামলা

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৬ এপ্রিল, ২০২১ at ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়ার কোদালায় বিএনপি নেতা মো. ইউনুছ মনির নেতৃত্বে বের হওয়া মিছিল থেকে হামলায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতা গুরুতর আহত ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে থানায়। মামলা দুটিতে বিএনপি-জামায়াতের কর্মী ও হেফাজত সমর্থক ৬৪ জন এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনসহ মোট ২১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। দুটি মামলাতেই উপজেলা বিএনপি নেতা ইউনুছ মনিকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে নারীসহ অবরুদ্ধের প্রতিবাদে গত শনিবার রাতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিলটি বের করেন তারা। এসময় লাঠিসোটা দিয়ে ইউনিয়ন আ. লীগ নেতা মো. মুহিবুল্লাহ, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুল জব্বার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিলদার আজম লিটনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। আ. লীগ নেতা মুহিবুল্লাহ বর্তমানে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা গুরুতর, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তার মাথা ও শরীরে কয়েকশ আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাকি দুজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গত সোমবার সকালে বিক্ষোভ মিছিলের নামে মারধর করে দাঙ্গা সৃষ্টি ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক মামলা রুজুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুব মিল্কি। মারধর করে দাঙ্গা সৃষ্টির ঘটনায় দণ্ডবিধি আইনে মামলাটির বাদী কোদালা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. আবদুল জব্বার ও ককটেল বিস্ফোরণের মামলার বাদী শিলক তদন্ত কেন্দ্রের এসআই খোরশেদ আলম। মামলা দুটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন শিলক তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই মজিবর রহমান।
হামলার মামলার বাদী ও আহত যুবলীগ নেতা আবদুল জব্বার জানান, বিএনপির ইউনুছ মনির নেতৃত্বে মিছিল বের করেন তারা। তখন রিকশা নিয়ে আমরা বাড়ি যাচ্ছিলাম। এসময় অতর্কিত দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র হাতে আমাদের উপর হামলা করে তারা। বিস্ফোরক মামলার বাদী শিলক তদন্ত কেন্দ্রের এসআই খোরশেদ আলম জানান, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লোকজনকে মারধর করছে এবং কোদালা বাজার ব্রিজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে এমন খবর পেয়ে সেদিন রাতে আমিসহ সিনিয়র অফিসাররা সেখানে যাই। এসময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব মিল্কি বলেন, দুটি মামলায় অভিযুক্ত এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামাদের ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টাকারীদের ছাড় দেয়া হবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘গর্ভের শিশু মৃত’ ঘোষণারপর জীবিত প্রসব
পরবর্তী নিবন্ধতৃণমূলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে পশ্চিমবঙ্গে জয়া বচ্চন