রাঙ্গুনিয়ায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

পরিবারের দাবি হত্যা

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৩ জুলাই, ২০২১ at ৫:১৯ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়ায় নিশা আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ফুলবাগিচা গাবতল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিশা রাজানগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সাদ্দাম পাড়া এলাকার আকতার হোসেনের মেয়ে। তবে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের চেষ্টা করলেও পুলিশ তা নিতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।
নিহতের পিতা আকতার হোসেন বলেন, ইউনিয়নের ফুলবাগিচা গ্রামের মো. মুছার ছেলে প্রবাসী আবুল কালামের সাথে ২০১৬ সালে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৩ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। যৌথ পরিবারে থাকায় বিয়ের পর থেকে আমার মেয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি, ভাসুর-ননদের গালিগালাজসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতো। গত ২১ জুন শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফোনে জানায়, আমার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। আমরা গিয়ে শুনি সে বিষ খেয়েছে। তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ১৮ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ৮ জুলাই মৃত্যু হয় তার।
আকতার হোসেন বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার মেয়ে জানায়, ঘটনার দিন সকালে ফুলবাগিচা গাবতল জামে মসজিদের পেছনে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে তাকে চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এ ঘটনায় নিশার বাম হাতের আঙ্গুল রক্তাক্ত হয়। তার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এরপর আমার মেয়ে আইনের আশ্রয় নেবে বললে, শ্বশুরবাড়ির লোকজন একত্রিত হয়ে তাকে জোরপূর্বক বিষপান করিয়ে দেয়। তবে এ বিষয়ে নিহত গৃহবধূর ভাসুর মো. শাহ আলম বলেন, আমার প্রবাসী ভাইয়ের সাথে ফোনে কথা কাটাকাটির জেরে নিশা আত্মহত্যা করেছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ সাজানো বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে গৃহবধূ নিশার বিষপানের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে। মামলা নিতে গড়িমসির ব্যাপারে জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মো. মাহবুব মিল্কী বলেন, তারা ইতিপূর্বে কোনো অভিযোগ দেয়নি। মামলা করতে তাদের এজাহার নিয়ে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা এরপর আর আসেনি। ঘটনাটি তদন্তপূর্বক পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই টিকা মেলানোর পরিকল্পনা নিয়ে সতর্ক করল হু
পরবর্তী নিবন্ধঅর্ধেক সংরক্ষিত রেখেই দেয়া হবে মডার্নার টিকা