বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা মিশিয়ে বা ডোজ অদল-বদল করে প্রয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু।
সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন গতকাল সোমবার এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে বলেন, যেহেতু এর ভালো-মন্দ দিক নিয়ে এখনও পর্যাপ্ত তথ্য নেই, সেহেতু ওই পরিকল্পনা একটি বিপজ্জনক ধারা তৈরি করবে। এটা খানিকটা বিপজ্জনকই বটে। টিকার মিক্স আর ম্যাচ করা নিয়ে আমাদের হাতে এখন পর্যাপ্ত তথ্য নেই, প্রমাণ নেই। এখন নাগরিকরাই যদি ঠিক করতে শুরু করে যে কে কখন দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ ডোজ নেবে, তাহলে সেটা দেশে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। খবর বিডিনিউজের।
বিশ্বের ধনী দেশগুলো বিপুল পরিমাণ টিকা মজুদ করে ফেললেও উন্নয়নশীল বা অনুন্নত অনেক দেশ এখনও টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পারেনি। ফলে করোনা ভাইরাস মহামারী সামলাতে এসব দেশকে রীতিমত নাকাল হতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দুই কোম্পানির টিকা মিশিয়ে, অথবা এক ডোজে এক টিকা নেওয়ার পর অন্য ডোজে অন্য কোম্পানির ভ্যাকসিন নেওয়া যায় কি না, সেই প্রশ্ন বেশ কিছুদিন ধরেই ঘুরছে। তবে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা না থাকায় বিশেষজ্ঞরা ওই ভাবনাকে কখনোই উৎসাহ দেননি।
এরই মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে থাইল্যান্ড সোমবার তাদের টিকা নীতি পরিবর্তন করে দুই ডোজে দুই রকম টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল জানিয়েছেন, প্রথমে সিনোভ্যাক টিকার একটি ডোজ দেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হবে। আর যে স্বাস্থ্যকর্মীরা ইতোমধ্যে সিনোভ্যাকের দুটি ডোজ নিয়েছেন, তাদের তৃতীয় আরেকটি বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য থাই কর্তৃপক্ষ।
তৃতীয় ডোজটি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাও হতে পারে, অথবা ফাইজার/বায়োএনটেকের মতো টিকাও হতে পারে। চীনের সিনোভ্যাকের তৈরি টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পরও থাইল্যান্ডে ৬ শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন নার্স মারা গেছেন এবং আরেকজনের অবস্থা গুরুতর।