র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৭) পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমাণ আইস, ইয়াবা ও গাঁজাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল সোমবার বিকেলে র্যাবের চান্দগাঁও ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৭’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ। গ্রেপ্তাররা হলেন জ্যোতিমান চাকমা (৩৬), মো. ছাবের (৪১), মো. হামিদ হোসেন (৩২) ও নাজমুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, রাঙামাটি জেলার কাউখালী থানার যেবাছড়ি এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী গাঁজা ক্ষেত থেকে গাঁজা সংগ্রহ করে শুকিয়ে বাজারজাত করার জন্য সংরক্ষণ করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে জ্যোতিমান চাকমাকে আটক করেন। আটক জ্যোতিমান চাকমার দেয়া তথ্যমতে তার চাষকৃত জমি থেকে ১টি গাঁজার ক্ষেত ধ্বংস করা হয়। যার আনুমানিক গাঁজা গাছের সংখ্যা ৬ হাজার এবং জমির পরিমাণ ৫ একর। ধ্বংস করা গাঁজার আনুমানিক ওজন ৫ হাজার ৫০০ কেজি। উদ্ধার করা গাঁজার আনুমানিক মূল্য ৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
কর্নেল এমএ ইউসুফ আরো বলেন, কঙবাজার জেলার টেকনাফ থানার সাবরাং এলাকায় কিছু মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য বেচাকেনার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে মো. ছাবেরকে আটক করে। ছাবেরের হাতে থাকা একটি শপিংব্যাগ তল্লাশি করে ৯৯৫ গ্রাম আইস (ক্রিস্টাল মেথ) এবং ২৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। ছাবের দীর্ঘদিন কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীর কাছে পাচার করে আসছে। উদ্ধার করা মাদকের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি টাকা।
এক লাখ পিস ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে র্যাব-৭’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, কঙবাজার জেলার উখিয়া থানার বালুখালী এলাকায় রোববার অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের বসত বাড়ির উঠানে মাটির ভেতর তল্লাশি চালিয়ে শক্ত প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানো বিশেষ কায়দায় সংরক্ষিত অবস্থায় ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়।
