রাউজান পৌরসভাকে অনুসরণ করবে অন্যান্য পৌরসভা

অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ কর্মসূচি পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্দেশনা

রাউজান প্রতিনিধি | সোমবার , ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ১০:১২ পূর্বাহ্ণ

পরিবেশ রক্ষায় রাউজান পৌরসভার অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ কর্মসূচি দেশজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। এই কৌশল অনুসরণ করার জন্য দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাভুক্ত পৌরসভাসমূহকে নির্দেশনা দিয়েছে সরকারি সংস্থাসমূহ। পরিবেশ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে পৌরসভাসমূহকে সম্প্রতি চিঠি দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পর্যায়ে এক বৈঠকে রাউজান পৌরসভার মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ কর্মসূচির প্রশংসা করা হয়। এই কর্মসূচি দেশের অন্যান্য পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত করে বাস্তবায়নের সুপারিশও করা হয়।
রাউজান পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ স্মারকমূলে জারি করা এক চিঠিতে বলেছে, তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ (পৌর) প্রকল্পের আওতায় যেসব পৌরসভা অন্তর্ভুক্ত আছে, সেইসব পৌরসভায় রাউজান পৌরসভার কৌশল গ্রহণ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
জানা যায়, এলাকার সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর পরামর্শে রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ প্রায় এক বছর আগে পৌরসভাকে পরিবেশবান্ধব ও পরিচ্ছন্ন রাখার কর্মসূচি নিয়েছিলেন। এমপি ফজলে করিম প্রায় প্রতি মাসে বর্জ্য কেনার হাটে উপস্থিত থেকে বর্জ্য সংগ্রহকারী ও ক্রেতা পৌর মেয়রকে এ কাজে অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছেন। মেয়র এ কাজ চলমান রেখে সারা দেশে প্রশংসিত হচ্ছেন।
মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, আমার পৌরসভাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে নাগরিকদের জন্য সুন্দর, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করতে এই আন্দোলন চলমান রেখেছি। রাউজানের এই কর্মসূচির আওতায় ভাসমান মানুষ ও টোকাইদের কাছ থেকে প্রতি বস্তা অপচনশীল বর্জ্য ১শ টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছি। এতে শত শত ভাসমান মানুষ ও টোকাই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। পরিচ্ছন্ন উপশহর গড়ার এই কর্মসূচি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে জনসচেতনতামূলক সভা-সমাবেশ করা হচ্ছে। এই কাজে সম্পৃক্ত হয়েছে স্কাউট, গার্লস গাইড, শিক্ষার্থী ও সামাজিক সংগঠনসমূহ।
জানা যায়, এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার বস্তা বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগ্রহ করা প্লাস্টিক ও পলিথিনের মতো অপচনশীল বর্জ্য রিসাইক্লিং করে প্লাস্টিক সরঞ্জাম উৎপাদন ও পচনশীল বর্জ্য থেকে জৈব সার, হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য উৎপাদনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে পৌরসভা। মেয়রের আশা, এসব প্রকল্পের মাধ্যমে পৌরসভা ও এলাকার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমর্যাদাপূর্ণ উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রামের দুই তরুণ
পরবর্তী নিবন্ধনাফ নদী সাঁতরে মিয়ানমার থেকে এল ১৯ মহিষ