রাউজান উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তার অফিসে জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কাজে সেবা নিতে এসে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে সেবা প্রার্থীদের। বিশেষ করে প্রবাসীরা যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে আসলেও তাদেরকে বিভিন্ন অজুহাতে বার বার ফেরত পাঠাচ্ছেন নির্বাচনী কর্মকর্তার অফিসের লোকজন। হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ সেবাপ্রার্থীদের। গত কয়েক মাস থেকে সেবা প্রার্থীরা এই অফিসে এসে ভোগান্তির অভিযোগ করে আসছিলেন।
গতকাল ২২ মার্চ বুধবার দুপুর একটায় সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, প্রায় অর্ধশত নারী পুরুষ নির্বাচনী কর্মকর্তার অফিসের সামনে জটলা পাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এখানে কেউ এসেছেন জাতীয় পরিচয় পত্রের ভুল সংশোধন করতে, আবার কেউ কেউ এসেছেন নতুন পরিচয়পত্র করার প্রয়োজনে। সকাল
থেকে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের মধ্যে বাগোয়ান ইউনিয়নের প্রবাসী নুর মোহাম্মদ অভিযোগ করেছেন তিনি যথাযথ প্রক্রিয়ায় নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে আবেদন করেছেন অনেক আগে। এখন কয়েক দফায় এসে যোগাযোগ করলেও প্রতিবারই তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে পরের সপ্তাহে আসার কথা বলে। ভোগান্তির
অভিযোগ করে রাউজান সদর ইউনিয়নের আরেক প্রবাসী জাফর আহমদ বলেছেন, তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে অনলাইনে আবেদন করেছিলেন অনেক আগে। নির্বাচনী কর্মকর্তার অফিসে এই আট দফায় এসে যোগাযোগ করেও কখন নতুন পরিচয়পত্রের ছবি উঠাবেন সেই বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেননি।
পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন করতে আসা অনেকেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করে জানিয়েছেন। তারা অনলাইনে আবেদন করেও কোনো সাড়া পাচ্ছেন না। প্রতি সপ্তাহে যোগাযোগ করতে আসলে বলা হয় এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। অনেকেই বলেছেন পাঁচ সাত মাসেও তাদের মোবাইলে এ
সংক্রান্ত এসএমএস পাননি। বলেছেন হয়রানির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে উল্টো নির্বাচনী কর্মকর্তা তাদের নাজেহাল করে বের করে দিচ্ছেন।
ভুক্তভোগীদের কয়েকজন বলেছেন নির্বাচনী কর্মকর্তার এই ধরনের আচরণে বিষয়ে ইতিপূর্বে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার মেয়রের কাছে গিয়ে নালিশ করেছেন। সেবা প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তা আবদুল কাদেরের সাথে কথা বললে তিনি হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার
করে বলেন, ‘নিয়ম মেনেই তিনি কাজ করছেন। নিয়মের বাইরে গিয়ে তার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়।’ তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করার এখতিয়ার ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের; অন্য কারো নয় বলেও জানান তিনি।