রমনা আবাসিকে ওয়াসার পানি নেই দুই মাস

রোজায় ৩০ হাজার মানুষের মানবেতর জীবনযাপন

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৭ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:০০ পূর্বাহ্ণ

নগরীর উত্তর আগ্রাবাদের রঙ্গিপাড়ার রমনা আবাসিক এলাকায় ওয়াসার পানি নেই দুই মাস ধরে। তীব্র গরম এবং রোজার সময় পানি সরবরাহ না থাকায় এলাকার অন্তত ৩০ হাজার মানুষকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। চারদিকে পানি থাকলেও শুধু রমনা আবাসিক এলাকায় পানি না থাকায় বাসিন্দাদের সীমাহীন দুর্ভোগ সহ্য করতে হচ্ছে।
নগরীর রমনা আবাসিক এলাকায় ২৭৩টি ভবনে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের বসবাস। এলাকায় আগে পানির তেমন কোনো সমস্যা না থাকলেও গত মাস দুয়েক পানি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, জাইকার অর্থায়নে ওয়াসার নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে পানি সরবরাহ লাইনে পরিবর্তন আনার পর থেকেই রমনা আবাসিক এলাকায় কোনো পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
তারা জানান, রমনা আবাসিক এলাকায় পানি দেয়া হচ্ছে হালিশহরের শান্তিবাগ আবাসিক এলাকার পাশের লাইন থেকে। ওই লাইনটি যথেষ্ট নিচু। এতে করে অপেক্ষাকৃত উঁচু রমনা আবাসিকে পানি পৌঁছে না। শান্তিবাগের সামনের লাইনের পরিবর্তে যদি রামপুরা এলাকার লাইন থেকে দেয়া হত তাহলে অনায়াসে পানি পাওয়া যেত। কিন্তু রামপুরা এলাকার লোকজন ওখানে কানেকশন নিতে বাধা দেয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রমনা আবাসিক এলাকার চারদিকে রামপুরা, শান্তিবাগ, বসুন্ধরা এবং ব্যাংক কলোনি এলাকায় পানি রয়েছে। শুধু মাঝের রমনা আবাসিক এলাকা মরুভূমির মতো খাঁ খাঁ করছে। ওয়াসা কর্তৃপক্ষের নিকট দফায় দফায় ধর্না দিয়েও পানি সংকটের কোনো সুরাহা করা যাচ্ছে না।
রমনা আবাসিক এলাকার কল্যাণ সমিতির সভাপতি হামিদুর রহমান নিজেদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে দ্রুত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে আহ্বান জানিয়েছেন। রোজার দিনে মানুষ অবর্ণনীয় কষ্টে পড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক ধরাধরির পর একটি গলিতে পানি পৌঁছানোর ব্যবস্থা হয়েছে। বাকি বিস্তৃত এলাকায় পানির হাহাকার চলছে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসার চিফ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মাকসুদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা জানি। জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ করার সময় পাইপ ফাটিয়ে ফেলায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে পাইপ মেরামত করেছি। রমনা আবাসিক এলাকার বেশিরভাগ বাড়িতেই পানি পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। একটি গলির কয়েকটি বাড়িতে এখনো পানি পাচ্ছে না। সেখানে দ্রুত পানি পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজলকেলিতে শেষ হলো বৈসাবি উৎসব
পরবর্তী নিবন্ধ৯৬ সালের আগের শিক্ষা সনদও যাচাই করবে ইসি