যৌতুকের টাকার জন্য চন্দনাইশে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেছেন স্বামী। ভিকটিম ডেজী আক্তার (৩১) বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে ভিকটিম বাদী হয়ে স্বামী মোস্তাক আহমদকে (৩৮) আসামি করে চন্দনাইশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব বৈলছড়ি উত্তরপাড়া এলাকার মৃত মো. ইব্রাহিমের মেয়ে ডেজী আক্তারের সাথে চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া ছাদেকপাড়া এলাকার মৃত ওমর মিয়ার ছেলে মোস্তাক আহমদের (৩৮) সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়।
কিন্তু যৌতুকলোভী স্বামী মোস্তাক আহমদ তার স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য বার বার শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছিলেন। ইতোমধ্যে বাপের বাড়ি থেকে বেশ কয়েকবার টাকাও এনে দেন স্ত্রী ডেজী। সংসারে তাদের দেড় বছর ও ৫ মাস বয়সী দুটি শিশু সন্তান রয়েছে।
সম্প্রতি ব্যবসার কথা বলে মোস্তাক তার স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে আরো ২ লাখ টাকা এনে দিতে বলেন। ডেজী টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করলে তার ওপর শুরু হয় নির্যাতন। সর্বশেষ গত ১৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেধড়ক মারধর করেন তাকে। খবর পেয়ে পরদিন সকালে চন্দনাইশ থানা পুলিশ ও ডেজীর পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চন্দনাইশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, যৌতুকের দাবিতে মারধরের ঘটনায় ডেজী আক্তার নামে এক নারী বাদী হয়ে স্বামী মোস্তাক আহমদকে আসামি করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি জানান, ঘটনার পরদিন সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিম ডেজীকে উদ্ধার করে চন্দনাইশ হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অভিযুক্ত স্বামী মোস্তাক আহমদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।