যে নিয়মে ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

| রবিবার , ২০ ডিসেম্বর, ২০২০ at ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে (এমসিকিউ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর ভর্তি পরীক্ষায় কেউ পাস বা ফেল করবে না। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব শর্তারোপ করে সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছভুক্ত সবক’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির প্রথম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
গতকাল শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। সভা শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে উপরোক্ত তথ্য জানানো হয়।
আবেদনের যোগ্যতা : যে সব শিক্ষার্থী ২০১৯-২০ সালে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তারাই আবেদন করতে পারবে। ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর বিজ্ঞান শাখার জন্য নূন্যতম জিপিএ ৭.০, বাণিজ্য শাখার জন্য নূন্যতম জিপিএ ৬.৫ ও মানবিক শাখার জন্য নূন্যতম জিপিএ ৬.০ থাকতে হবে। তবে প্রত্যেক শাখাতে (বিজ্ঞান/বাণিজ্য/মানবিক) এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষায় বিষয়সমূহের মানবণ্টন : বিজ্ঞান শাখা: বাংলা-১০, ইংরেজি-১০, পদার্থ বিজ্ঞান-২০, রসায়ন-২০, গণিত/জীববিজ্ঞান/আইসিটি-৪০, সর্বমোট ১০০। বাণিজ্য শাখা: বাংলা-১৩, ইংরেজি-১২, হিসাববিজ্ঞান-২৫, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা-২৫, আইসিটি-২৫, সর্বমোট ১০০। মানবিক শাখা: বাংলা-৪০, ইংরেজি-৩৫, আইসিটি-২৫, সর্বমোট ১০০। বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক শাখার পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ গ্রুপে পরীক্ষা দিয়েই বিভাগ পরিবর্তন করতে পারবে।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির (গাজীপুর) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূরের নেতৃত্বে ‘টেকনিক্যাল সাব কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে ‘অর্থ-কমিটি’ গঠন করা হয়।
যে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো হলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাঠানটুলীতে বিএনপির স্থাপিত তোরণ ভেঙে ফেলার অভিযোগ
পরবর্তী নিবন্ধ১৫ জন মাঝিমাল্লাসহ ফিশিং ট্রলার নিখোঁজ