যেভাবে পাওয়া যাবে চট্টগ্রামে আজ শুরু বুস্টার ডোজ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ প্রয়োগে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে আগেই নির্দেশনা দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যদিও সুরক্ষা ওয়েবসাইট আপডেট সম্পন্ন না হওয়ায় এতদিন বুস্টার ডোজ শুরুর নির্দেশনা দেয়া হয়নি। ওয়েবসাইট (সুরক্ষা) আপডেট সম্পন্ন হওয়ার পর অবশেষে বুস্টার ডোজ শুরুর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কেন্দ্রের সক্ষমতা থাকা সাপেক্ষে করোনার টিকার বুস্টার ডোজ শুরুর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিায়ছ চৌধুরী।
এদিকে, নির্দেশনা পাওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে মঙ্গলবার (আজ) থেকেই বুস্টার ডোজ প্রয়োগ শুরু হচ্ছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী গতকাল রাতে আজাদীকে বলেন, ২৮ ডিসেম্বর থেকে বুস্টার ডোজ শুরুর বিষয়ে আমরা নির্দেশনা পেয়েছি। নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ২৮ ডিসেম্বর (আজ) থেকেই আমরা বুস্টার ডোজ শুরু করছি। পটিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলায়ও আজ থেকে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হচ্ছে বলে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
অবশ্য, প্রাথমিক পর্যায়ে সবাই এ বুস্টার ডোজ পাচ্ছেন না। প্রথমে ফ্রন্টলাইনার (সম্মুখসারির যোদ্ধা) ও ষাটোর্ধ বয়সীদের বুস্টার ডোজ প্রয়োগের নির্দেশনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী ও চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। এই দুই কর্মকর্তা বলেন, তবে ফ্রন্টলাইনার (সম্মুখসারির যোদ্ধা) এবং ষাটোর্ধ বয়সীদের মধ্য থেকেও
যাদের এসএমএস পাঠানো হবে, তারা নির্ধারিত সময়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। এসএমএস না পেলে বুস্টার ডোজ নেয়ার সুযোগ নেই। অন্তত ৬ মাস আগে যাদের দুই ডোজ টিকা কমপ্লিট হয়েছে, এসএমএস প্রেরণের ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এসএমএস পাওয়া ব্যক্তিকে সুরক্ষা ওয়েবসাইট থেকে পুনরায় টিকা কার্ড ডাউনলোড পূর্বক প্রিন্ট করে কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। নতুন টিকা কার্ডে তৃতীয় (বুস্টার) ডোজের তথ্য লিপিবদ্ধ করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় ও চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, দিনে একটি কেন্দ্রে ১০০ জন প্রথম ডোজ গ্রহীতার বিপরীতে ২০ জনকে বুস্টার ডোজ দেয়া যাবে। অর্থাৎ প্রথম ডোজ ও বুস্টার ডোজের অনুপাত হবে ৫ঃ ১। সে হিসেবে ৫০০ জন প্রথম ডোজ গ্রহীতার বিপরীতে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ১০০ জনকে বুস্টার দেয়া হবে। আর প্রথম ডোজ গ্রহীতার সংখ্যা এক হাজার জন হলে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ওই দিন ২০০ জনকে বুস্টার ডোজ দেয়া যাবে।
প্রাথমিকভাবে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা প্রয়োগের নির্দেশনা রয়েছে। তবে যেসব কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা প্রয়োগের সুযোগ নেই, সেসব কেন্দ্রে বুস্টার ডোজ হিসেবে মডার্না ও অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকাও দেয়া যাবে।
বুস্টার ডোজের বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, আমাদের কাছে ফাইজারের পর্যাপ্ত টিকা আছে। যদিও চট্টগ্রাম মহানগরে মাত্র তিনটি কেন্দ্রে ফাইজারের টিকাদান চলছে। এই তিন কেন্দ্র চাইলে যে কোন সময় ফাইজারের টিকা দিয়ে বুস্টার ডোজ শুরু করতে পারবে। কিন্তু বুস্টার ডোজ হিসেবে মডার্না ও অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা প্রয়োগ করলে সেক্ষেত্রে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। আমরা মডার্না ও অ্যাস্ট্রেজেনেকা টিকার জন্য ঢাকায় চাহিদা পাঠাবো। সপ্তাহখানেকের মধ্যে এসব টিকাও চলে আসবে। তখন বুস্টার ডোজ হিসেবে মডার্না ও অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকাও প্রয়োগ করা যাবে। এদিকে, ফাইজারের টিকা প্রয়োগ চলমান থাকা অপর কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বুস্টার ডোজ কয়েকদিনের মধ্যে শুরু করার কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, বুস্টার ডোজ প্রয়োগের বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। দুয়েক দিনের মধ্যেই শুরু করতে পারবো বলে আমরা আশা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবহুতল ভবন নির্মাণ হয়ে গেলেই সব সমস্যার সমাধান হবে : নওফেল
পরবর্তী নিবন্ধচতুর্থ ধাপে নৌকা-স্বতন্ত্র সমানে সমান