শান্তির পৃথিবীতে ছোট্ট শিশুটি মায়ের কোলে শান্তি আশ্রয় খুঁজে বেড়ায়। অজানা জায়গা অচেনা মুখগুলো মা, বাবার মায়া মমতায় জড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে হামাগুড়ি হতে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত ধরার চেষ্টা।শিক্ষার আলো দিশা, মানবিকতা বানীতে পদক্ষেপ শুরু। মুক্ত আকাশে মুক্তির জীবন। নেই কোন হিংসা, বিবাদ, ক্ষোভ, লালসা, যুদ্ধের লড়াই।
বর্তমান বিশ্বে যুদ্ধের ময়দানে ছয় বছরের ছেলে শিশুটি আজ নির্বাক। শত্রু পক্ষের আঘাত থেকে বাঁচতে রাতের আধাঁরে বাবা মায়ের কোলে জীবন রক্ষায় দিক বেদিক ছুটে চলে। ছুটে চলার মাঝে যখন দু‘টি হাত দুজনের হাতে তখন চারিদিকে চোখে ভেসে ওঠে আর্তনাদ, লাশ, মানুষের ছুটাছুটি, শত্রুদের গোলা বারুদের আঘাত। হঠাৎই কোমল হৃদয়ে ভয়ের চিত্র প্রতিয়মান। মানবজাতির সত্যতা, নিজ জীবন প্রাণপ্রিয়। অন্ধকারে কালো ধোঁয়ায় উপলব্ধি এক হাতের স্পর্শ বিচ্ছিন্ন। অপর হাতে ছুটে চলতে ছোট্ট নিজ জীবনকে বাচাতে একা দৌড়াতে গিয়ে আশ্রয় নেই শত্রু পক্ষের গাড়িতে। সারা শরীর আঘাতে কাটা ছেড়ার রক্ত লাল, ব্যথা অনুভূতি বিনা অভিমানে মুখ ফিরিয়ে বসে বাচার প্রার্থনা।
ভালোবাসার মুখগুলো তখন অদৃশ্য ছায়া। নৃশংস শত্রুর দৃষ্টি আর বন্দুক যখন মাথায় স্পর্শ তখনও অবুঝ মনে বোঝার উপায় নেই। কিন্তু অমানবিক নিষ্ঠুর আঘাত ছোট্ট শরীরটিকেও ছাড়েনি। পৃথিবী আজ মানবিকতা বিনা পশুতে পরিণত। চারিদিকে যুদ্ধের রণ ধ্বনি। আর নয় হিংসাত্মক গোলা বারুদ, থেমে যাকগে যুদ্ধ। চাই শুধু শান্তি, মনুষ্য ভরে উঠুক মানবের মানবিকতায়। না হয় পৃথিবীতে মানবজাতির বিলুপ্ত আসন্ন প্রায়।