জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে নতুন বছরে যুক্তরাজ্যের ‘রাজকীয়’ সম্মাননা পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সালিমুল হক। গত শনিবার ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন প্রকাশিত অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ অ্যাম্পায়ার (ওবিই) অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত ব্যক্তিদের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের এ জলবায়ু বিজ্ঞানীর নাম। জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে অধ্যাপক সালিমুল হকের অবদান তুলে ধরে শনিবার ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। ইংরেজি নববর্ষে এবং জুনে রানীর জন্মদিনে যুক্তরাজ্যের এ সম্মাননার তালিকা প্রকাশ করা হয়। যুক্তরাজ্যসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অসামান্য অবদানের জন্য এ সম্মাননা দেওয়া হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। খবর বিডিনিউজের।
রাজকীয় এ সম্মাননা পুরস্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অধ্যাপক সালিমুল বলেন, ওবিই অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি আমার কাছে অনেক সম্মান ও আনন্দের বিষয়। দারিদ্র্য দূরীকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক এ দুটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক হিসেবে দুই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষকদের সঙ্গে গত দুই দশক ধরে আমি কাজ করছি।
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে তার লড়াই এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বে জলবায়ু সম্পর্কিত দক্ষতা তৈরিতে কাজের সম্মাননা হিসেবে ওবিই তালিকায় তার নাম অন্তর্ভূক্ত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এতে বলা হয়, উন্নয়নশীল দেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে এর প্রভাব মোকাবেলায় অভিযোজন ক্ষমতার উন্নয়নে সহায়তা দিতে সালিমুল হক তার পেশাগত জীবন উৎসর্গ করেছেন।
গত ৩৫ বছর ধরে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে তার বৈজ্ঞানিক গবেষণা আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারণে তথ্য দিয়ে সহায়তা করে আসছে। ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান’র প্রধান লেখক অধ্যাপক সালিমুল ‘ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন’ এবং ‘ন্যাশনাল অ্যাকশনন প্ল্যান অন অ্যাডাপটেশন’ কর্মসূচির সঙ্গেও কাজ করছেন। জলবায়ু বিষয়ে সরকারের একজন উপদেষ্টা এবং ‘ইউনাইটেড ন্যাশন্স ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ (ইউএনএফসিসি) এর একজন গুরুতূপূর্ণ সদস্য এই বিশেষজ্ঞ।
ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, অধ্যাপক হক যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে মর্যাদার সম্মাননা স্বীকৃতি পাওয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। নিষ্ঠা, একাগ্রতা আর সমাজের প্রতি অঙ্গীকারের মনোভাব নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের এই সঙ্কটে সবচেয়ে আস্থাশীল ও শ্রদ্ধেয় একজন পরামর্শক হয়ে উঠেছেন তিনি।