সুখ এক ধরনের অনুভূতি। মানুষের প্রত্যাশা যখন প্রাপ্তির সীমানায় পৌঁছে যায় তখন মানুষ এক ধরনের অনুভূতি অনুভব করে সে অনুভূতির নামই হচ্ছে সুখ। প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মিলনের ফলে আনন্দ উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশই সুখ নামে অভিহিত। সুখ শব্দটা শতভাগ মানুষের কাঙ্ক্ষিত এবং প্রত্যাশিত একটি শব্দ। সবাই সুখটাকে একান্ত আপন করে পেতে চায়। একেবারে নিজের করে যেন কখনও কোনোদিন হারিয়ে না যায়। ছোট বড় ধনী গরীব সকলেরই একই চাওয়া। সুখের সংজ্ঞা একেক জনের কাছে একেক রকম। তবে আত্মতৃপ্তিই হচ্ছে সুখের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা। আনন্দ আর তৃপ্তির একত্র সংমিশ্রণ ঘটলেই সুখের উৎপত্তি হয়। তবে মানুষের জীবনে আনন্দ যেমন ক্ষণস্থায়ী ঠিক তেমনি তৃপ্তির আকাঙ্ক্ষাও দিন দিন বাড়তে থাকে। তাই সুখ অধরাই থেকে যায়।
কেউ কেউ নিজেকে সুখী মনে করলেও এমন কিছু দুঃখ আছে যা তাকে প্রতিনিয়ত খুঁড়ে খুঁড়ে খাচ্ছে। সুখের পিছনে ছুটছে সবাই। কেউ গ্রাম থেকে শহরে ছুটছে সুখের নেশায় কেউবা শহর ছেড়ে বিদেশে। কেউ ভাবছে টাকাই সুখ তাই টাকার নেশায় নিজের সততা বিসর্জন দিচ্ছে কেউবা নিজের স্বভাব চরিত্র। কেউবা কিনছে গাড়ি কেউবা বাড়ি। একটার পর একটা প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির নেশায় ছুটছে মানুষ সুখের সন্ধানে। সবাই ভাবছে হয়ত লক্ষ্যে পৌঁছলে সুখ কিন্তু সেখানে পৌঁছে দেখে সুখতো আরও দূরে তাই ছুটছে তো ছুটছে মানুষ। নিরন্তর এ ছুটে চলা মানুষের শুধু সুখের জন্য। প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি কী মানুষের জীবনে সুখের সাক্ষাত ঘটাতে পারে?
প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির নেশায় যখন মানুষের মন চঞ্চল হয়ে ওঠে তখনই সুখ তাকে ছেড়ে যায়। অতৃপ্ত বাসনার জালে সে আটকে পড়ে যায়। মুক্ত হতে পারে না। এটা এমন একটা নেশা যে নেশায় মন প্রাণ অস্থির হয়ে ওঠে। সে অস্থিরতায় হারিয়ে যেতে থাকে সুখ। তাই যখন যে অবস্থায় থাকা যায় সেটাতে সন্তুষ্ট থাকাতেই সুখ।