যাত্রী তিন হাজার, জাহাজ পারাপার করে এক হাজার

এমভি আইভির ট্রিপ বাড়ানোর দাবি গুপ্তছড়া-কুমিরা নৌ রুট

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি | শনিবার , ২৫ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে এর যোগাযোগের একমাত্র ভরসা নৌপথ। প্রতিদিন প্রায় তিন হাজারের অধিক যাত্রী নৌপথে সন্দ্বীপচট্টগ্রাম আসা যাওয়া করে। সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট ও সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাট থেকে স্টিমার, কাঠের তৈরি ট্রলার ও স্পিডবোটে এ যাত্রীরা সাগর পাড়ি দেয়।

 

এর মধ্যে বিআইডব্লিউটিসির জাহাজ ‘এমভি আইভি রহমান’ এ করে উভয় দিক থেকে এক ট্রিপে করে গড়ে ৮শ থেকে ১ হাজার যাত্রী পারাপার করা হয়। অবশিষ্ট যাত্রীদের নির্ভর করতে হয় মালবাহী ট্রলার, কাঠের তৈরি সার্ভিস ট্রলার আর স্পিডবোটের উপর।

এদিকে ঈদ ও অন্যান্য সরকারি ছুটি উপলক্ষে ঘাটে যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এছাড়া বর্ষা মৌসুম ও সাগর উত্তাল থাকলে স্টিমার সার্ভিস ছাড়া অন্যান্য সব সার্ভিস বন্ধ থাকে। সেক্ষেত্রে ঘাটে যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ থাকে না। ঈদ আর বর্ষায় যাত্রীরা যাতে দুর্ভোগের শিকার না হয় সেজন্য বিআইডব্লিউটিসির জাহাজের ট্রিপ বাড়ানোর জোর দাবি জানাচ্ছেন প্রতিনিয়ত সাগর পাড়ি দেয়া এ বিচ্ছিন্ন দ্বীপের যাত্রীরা।

চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ ফেরার সময় কথা হয় পৌরসভার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি নিজ অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে দৈনিক আজাদীকে জানান, সকাল ১০টায় কুমিরা থেকে স্টিমার ছেড়ে চলে গেছে। কিন্তু এরপর মাত্র এক ঘণ্টা অতিবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে আমরা শতাধিক যাত্রী কুমিরা ঘাটে

উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছি সন্দ্বীপ যাওয়ার জন্য। যদি স্টিমার দুপুর ২টায় কুমিরা থেকে আরেকটা সার্ভিস দিত তাহলে তাদের এত অনিশ্চয়তায় থাকতে হত না।

খাদেমুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী জানান, গুপ্তছড়াকুমিরা নৌ রুটে শিপ দুই ট্রিপ দেওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ শিপে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকে। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও স্পিডবোটের ভাড়া ৩৮০ টাকাসহ সন্দ্বীপচট্টগ্রাম নৌরুটে যাতায়াত খরচ বেশি হওয়ায় অধিকাংশ যাত্রী

শিপে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে শিপ এক ট্রিপ হওয়ায় অনেকে সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া উঠানামা করার জন্য লালবোটে অবশ্যই কম যাত্রী নেওয়া এবং যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট দেয়ারও দাবি জানান তিনি।

কুমিরাগুপ্তছড়া নৌরুটে চলাচলকারী বিআইডব্লিউটিসির স্টিমার এমভি আইভি রহমানের কমিশন এজেন্ট একরাম উদ্দীন ফরহাদ আজাদীকে জানান, সামনে ঈদ আর যাত্রী সংখ্যা বিবেচনা করে জাহাজের উভয় ঘাট থেকে দুই ট্রিপ করে সার্ভিস দেয়ার বিষয়ে চেষ্টা চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৫০ টন সোনার খনির সন্ধান মিলল চীনে
পরবর্তী নিবন্ধঅল্প বৃষ্টিতে খুশি চাষি