মোদীকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আদালতে আবেদন

| বুধবার , ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ

ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ধর্মের নাম করে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হয়ে ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হোক। এ মর্মে দিল্লি হাইকোর্টে আর্জি জানিয়ে মামলা করেছেন আইনজীবী আনন্দ এস জনধালে। খবর বিডিনিউজের।

দ্য ইকোনোমিক টাইমস’ পত্রিকা জানায়, গত ৯ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের পিলিভীতে ভারতীয় জনতা পার্টির নির্বাচনী জনসভায় মোদীর বক্তৃতার উল্লেখ করে মামলার এ আবেদন করেন আনন্দ। তিনি বলেছেন, বক্তৃতার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী ভোটারদের কাছে হিন্দু ও শিখ দেবতা এবং হিন্দু উপাসনালয়ের নামে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। ওই নির্বাচনী সভায় মোদী বলেছিলেন, তিনি রামমন্দির তৈরি করেছেন। কর্তারপুর সাহিব করিডোর তৈরি করে দিয়েছেন। শিখদের গুরুদুয়ারা ও আফগানিস্তান থেকে আনা গুরুগ্রন্থ সাহিবের প্রসঙ্গও তিনি উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া, মুসলিমদের তোয়াজ করার জন্য বিরোধীদের সমালোচনাও করেন।

আদালতে আনন্দর আর্জিতে আরও বলা হয়, নির্বাচনী প্রচারে কখনই মন্দিরমসজিদগির্জা বা কোনও ধর্মীয় স্থানের প্রসঙ্গ ব্যবহার করা যায় না। ধর্মীয় ভাবাবেগ উসকে দিয়ে ভোট চাওয়া নির্বাচনী আচরণবিধির খেলাপ। মামলাকারীর অভিযোগ, কম্পেন্ডিয়াম অব ইনস্ট্রাকশনস ভলিউম ৩এর সাধারণ বিধির অধীনে ১() এবং ৩ নং বিধি লঙ্ঘন করেছেন মোদী। এ বিধি অনুযায়ী, কোনও দল বা প্রার্থী এমন কোনও কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হবেন না, যা দুই সমপ্রদায়ের মধ্যে মতভেদ বাড়াতে পারে বা পারস্পরিক বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে পারে বা বিভিন্ন জাতি বা সমপ্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় কিংবা ভাষাগত উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। এ বিধানে আরও বলা আছে, ভোটের জন্য জাত বা সমপ্রদায়ের অনুভূতির ক্ষেত্রে কোনও আবেদন থাকতে পারে না। মসজিদ, গির্জা, মন্দির বা অন্যান্য উপাসনালয়কে নির্বাচনী প্রচারের ফোরাম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

মোদী কেবল যে এই বিধি লঙ্ঘন করেছেন তাই নয় মুসলিমদের পক্ষে বিরোধীদলের সমর্থনের কথাও বলেছেন। এ কারণে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ নং ধারায় (গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা বৃদ্ধি) প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করার জন্য এবং নির্বাচনী লড়াইয়ে তাকে ৬ বছরের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করতে আবেদনকারী ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছেও আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও ফল না হওয়ায় তিনি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল
পরবর্তী নিবন্ধ১০ বছর আত্মগোপনে থাকার পর অন্যতম আসামি মঞ্জুর গ্রেপ্তার