চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) নাসিরাবাদের হোস্টেলে মেসের কর্তৃত্ব নিয়ে মারামারিতে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। গতকাল বিকেলে নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ২নং সড়কের হাফিজুল্লাহ বশির শাওন ছাত্রাবাস ও লুৎফুস সালাম ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে একটি পক্ষ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘটনাস্থলে যাওয়া পাঁচলাইশ থানার এসআই শরীফ রুকুনুজ্জামান আজাদীকে বলেন, মেস ম্যানেজার হওয়া নিয়ে দুই গ্রুপের তর্ক–বিতর্কের এক পর্যায়ে ধাক্কা–ধাক্কির ঘটনা ঘটে। এতে দুজনের শরীরে সামান্য আচড় লাগে। আর কক্ষের একটি পানি রাখার পাত্র/ফিল্টার ভেঙ্গে যায়। তবে কলেজের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
চমেক সূত্রে জানা গেছে, দুটি ছাত্রাবাসে মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী থাকেন। আর দুটি হোস্টেল মিলিয়ে এক মেসের মাধ্যমে ডাইনিং পরিচালনা করা হয়। সিলেকশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রতি মাসে একজন মেস ম্যানেজার নির্বাচন করা হয়ে থাকে।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের এই দুটি হোস্টেলেও এখন দুটি পক্ষ সক্রিয়। একটি পক্ষ সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী এবং অপর পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। তবে এখানে নাছির অনুসারীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বরাবরই তাদের মধ্য থেকেই মেস ম্যানেজার হয়ে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে অনেকদিন ধরে ক্ষোভ রয়েছে নওফেল অনুসারীদের মাঝে। আগের দিন (মঙ্গলবার) মেস ম্যানেজার নির্বাচনের মিটিং থাকলেও সেখানে নওফেল অনুসারীরা যোগ দেননি। ফলে মেস ম্যানেজার নির্বাচনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়। কিন্তু গতকাল নিজেদের গ্রুপের একজন মেস ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করবে বলে দাবি করে নওফেল অনুসারীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কি থেকে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। এতে নিজেদের দুজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে নাছির অনুসারীরা।
ঘটনা শুনেছেন জানিয়ে চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তার আজাদীকে বলেন, এরা এখনো ফার্স্ট ইয়ারের স্টুডেন্ট। এর মাঝে রাজনীতিতে জড়িয়েছে কী না নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে মেসের কর্র্তৃত্ব নিয়ে দু পক্ষের মাঝে ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। বৃহস্পতিবার (আজ) সকালে তাদের অফিসে ডাকা হয়েছে বলেও জানান চমেক অধ্যক্ষ।