চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান বলেছেন, আমাদের মেলায় এমন অনেক রপ্তানিমুখী পণ্য প্রদর্শন করেছি, যারা রপ্তানি করে তারা এখানে এসে দেখতে পারছেন। আমাদের দেশে অনেক মানসম্মত পণ্য উৎপাদন হয়, বাংলাদেশে অন্যান্য পণ্যের রপ্তানিতে ক্ষতি হলেও গার্মেন্টেসের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। গার্মেন্টস চলছে। আগে বেশি হয়েছে, এখন হয়তো একটু কমেছে। শ্রমিকরা কাজ করতে পারছে। কোনো শ্রমিক বেকার হয়ে যায়নি।
গতকাল রাতে নগরীর কাজীর দেউড়ি আউটার স্টেডিয়ামে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজিত সপ্তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রপ্তানি মেলার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি
এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়া এটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা মেলা আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করে সে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। আমাদের দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করেই আমরা মেট্রোপলিটন চেম্বার করেছি। চেম্বারের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করছি। আপানারা জানেন, বাংলাদেশে যত চেম্বার আছে, তারমধ্যে মেট্রোপলিটন চেম্বারের সদস্যরাই সবচেয়ে ধনী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেট্রোপলিটন চেম্বারেরর সভাপতি বলেন, আমাদের মেলা শতভাগ সফল হয়েছে। ছোট জায়গার জন্য এতগুলো দোকান অংশ নিয়েছে। তবে চট্টগ্রামে বড় করে মেলা আয়োজনের জন্য সে রকম কোনো মাঠ নেই। আমরা সরকারের কাছে ফিঙড ভেন্যুর জন্য দাবি জানিয়েছি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ-সভাপতি মাহবুব চৌধুরী বলেন, আমাদের এই মেলা গত দুই বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে করতে পারিনি। এবার মেলা আয়োজন করে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি। তবে বৃষ্টির কারণে প্রথম এক মাস আমরা কিছু করতে পারিনি। তবে এই ১৫ দিনে দেখেন মানুষ কেমন গিজগিজ করছে। মেলায় পানি, বিদ্যুৎ, বাথরুমের সুবিধাসহ সবকিছু আমরা নিজেরা থেকে দিয়ে যাচ্ছি। সব মা বোনেরা এখানে এসে সুন্দর পরিবেশে কেনাকাটা করে যাচ্ছে। চেম্বারের মূল কাজ হচ্ছে দেশের শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ। চট্টগ্রাম থেকে থাইল্যান্ড সিঙ্গাপুর রুটে ফ্লাইট চালু, ডলার সংকট নিরসনে আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। আগামীকাল (আজ) বিকেল তিনটায় আমরা সমাপনী অনুষ্ঠান করবো। প্রধান অতিথি থাকবেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। সন্ধ্যায় প্রবেশ টিকিটের ওপর র্যাফেল ড্রয়ের পুরস্কার হিসেবে মোটরসাইকেল দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রায় ৮৫ হাজার বর্গফুট এলাকাজুড়ে শুরু হওয়া মেলায় ৬টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ২০০টি স্টল এবং শিশুদের জন্য কিডস জোন করা হয়েছে।