ছাত্রলীগ নেতাদের ‘জ্বালাতনে’ বিরক্ত ওবায়দুল কাদের

| মঙ্গলবার , ১৫ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ

রাতের বেলায় মোবাইল ফোনে ছাত্রলীগের নেতাদের অসংখ্য ‘মেসেজ’ আসে জানিয়ে তা নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাতে ফোন ‘সাইলেন্ট’ থাকে জানিয়ে তিনি বলেছেন, সকালে দেখি সারা রাত (মেসেজ), বেশিরভাগ হল ছাত্রলীগের। এখানেও আছে কেউ কেউ, আওয়ামী
লীগের প্রার্থী বিভিন্ন জায়গায়। এসব জ্বালাতনগুলো…। সকালে উঠে আমার মেডিকেশন আছে, আমাকে বাইরে যেতে হয়, তখন আমার প্রস্তুতিটা লাগে। কিন্তু ওই সময় এত মেসেজ পড়তে পড়তে শেষ। সময় ফুরিয়ে যায়। দয়া করে আমাকে মেসেজ দেবেন না। খবর বিডিনিউজের।
ছাত্রলীগের এক সময়ের সভাপতি কাদের সংগঠনটির এখনকার নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, তাদের জন্য আমাদের নেত্রী একটি সুসজ্জিত কার্যালয় তৈরি করে দিয়েছেন। সেটা হল আমাদের ২৩ নম্বরে (বঙ্গবন্ধু এভিনিউ)। তারা এখানে ঘোরে কেন? ছাত্রলীগ অফিসে গেলে, ওই অফিসে যাবে। তদবির করলে ওই অফিসে করবে। এখানে তো তাদের আসার কথা না।
গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ২২তম সম্মেলন উপলক্ষে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
কোনো অতি উৎসাহী ভক্ত সুবিধা পাবেন না জানিয়ে আওয়ামী সম্পাদক বলেন, কারও বাড়ি কোম্পানীগঞ্জ কিংবা নোয়াখালী হলেও আমার ওইসব প্রীতি নাই। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাই সব নেতা-কর্মীদের একই চোখে দেখি। আমার এলাকাবাসী আমাকে নির্বাচিত করে সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু কারও প্রতি আমি বিশেষ দৃষ্টি দিতে পারি না, পারব না। আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মী আমার জন্য সমান।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কাউকে অতি উৎসাহী ভক্ত ‘সাজতে’ নিষেধ করে তিনি বলেন, এই দলের নেতা-কর্মীদের মনের খবর আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনার চেয়ে বেশি কেউ জানেন না। তিনি কাউন্সিলরদের মনের খবর ও জীবনের খবর; এমনকি তারা কীভাবে চলছে, কে অসুস্থ, কার আর্থিক সচ্ছলতা নেই, সব খবর রাখেন। তাই এ দলের নেতৃত্ব নির্বাচনে সভাপতি শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। একজন কাউন্সিলরও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে আমাদের নেত্রীকে পুনর্বার চাইবেন না। তার জন্য আমরা আজকে এসেছি।
আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে সাজসজ্জা ও বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা নিষেধ করেছেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তারপরও মফস্বলে গিয়ে- হায়রে বিলবোর্ড, যেখানেই যাই বিলবোর্ড। সামনে দেখি একরকম, বিলবোর্ডে দেখি আরেক রকম। চিনিই না। আমার ছবিও আমার চিনতে কষ্ট হয়। কোথা থেকে এলাম? এখানে কী দেখলাম। বিলবোর্ডের ছড়াছড়ি যেভাবে হচ্ছে, এসব আমরা করব না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আড়াই কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা রবির
পরবর্তী নিবন্ধমেট্রোপলিটন চেম্বারের বাণিজ্য মেলা শতভাগ সফল : খলিলুর রহমান