মৃত্যু ছাড়াল ৫ হাজার

এ পর্যন্ত শনাক্ত ৩ লাখ ৫২ হাজার ১৭৮

| বুধবার , ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার ১৯৯ দিনের মাথায় সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত আরও ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৭ জন। গত একদিনে আরও ১ হাজার ৫৫৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫২ হাজার ১৭৮ জনে। খবর বিডিনিউজের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৭৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৬০ হাজার ৭৯০ জন হয়েছে। গতকাল বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনা পরিস্থিতির এই সর্বশেষ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশে করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ। তার ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। ২৫ আগস্ট মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার এবং ১৩ দিন পর ৭ সেপ্টেম্বর তা সাড়ে ৪ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এই তালিকায় আরও ৫০০ নাম যোগ হতে ১৫ দিন লাগল।
বাংলাদেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিন লাখ পেরিয়েছিল গত ২৬ আগস্ট। সোমবার তা সাড়ে তিন লাখে পৌঁছায়। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩ কোটি ১৩ লাখ পেরিয়েছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯ লাখ ৬৫ হাজারে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫তম স্থানে। মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১০২টি ল্যাবে ১৪ হাজার ১৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪৮৭টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ০৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৪ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন, নারী ১১ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০, ১ জন করে মোট ২ জন ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ও ১০ বছরের কম ছিল। তাদের ১৮ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ জন খুলনা বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ৩ জন রাজশাহী, সিলেট ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের শনাক্তের হার ১৮.৬১ শতাংশ