মৃত্যুর আগে একবার ওকে জড়িয়ে ধরতে চাই : মেসির প্রথম শিক্ষিকা

স্পোর্টস ডেস্ক | সোমবার , ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

রোজারিওর সান্তা ফে’তে জন্ম লিওনেল মেসির। সেখানেই কাটিয়েছিলেন শিশুকাল। স্কুলে যখন যাওয়া শুরু করেছিলেন মেসি, তখন তার প্রথম স্কুল ছিল লা পালগা দ্য গ্রাল। যেখানে তিন বছর লিওনেল মেসির শিক্ষিকা ছিলেন মনিকা ডোমিনা। সেই ছোট্ট মেসিকে যখন তিনি পড়াতেন, তখন কী কখনো ভাবতে পেরেছিলেন তার সামনে বসে থাকা লাজুক শিশুটিই একদিন বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করবেন। হবেন বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্ব।

মনিকা ডোমিনা এখনও ভাবতেই পারছেন না, মেসি লিখতে পারছেন এবং পড়তে পারছেন। লাজুক শিশুটি যে সেই দিনগুলো পেছনে ফেলে আজ বিশ্বের সেরা ফুটবলারে পরিণত হয়েছে, যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না ডোমিনার। ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালের আগে প্রিয় ছাত্রের কাছে একটি আবেগঘন চিঠি লিখেছেন ডোমিনা। সেখানে তিনি আর্জি জানালেন, ‘মৃত্যুর পূর্বে একবার হলেও মেসির সঙ্গে দেখা করতে চাই এবং একবার হলেও তাকে জড়িয়ে ধরতে চান।’ শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে লিখলেন- কাপটা নিয়ে ফিরে এসো লিও।

সান্তা ফে (ভিলা ত্রিনিদাদ) থেকে সুপার দেপোর্তিভো রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ইচ্ছার কথা জানান মনিকা ডোমিনা। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘তার শিক্ষিকা হওয়ার জন্য নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করি এবং একই সঙ্গে একজন সাবেক ছাত্র হিসেবে মেসির মঙ্গলও কামনা করি।’ সেখানেই থেমে থাকেননি মনিকা। সাবেক ছাত্রকে বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফেরার অনুরোধ জানিয়ে পাঠিয়েছেন চিঠি। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘তোমার হয়তো আমাকে আর মনে নেই; কিন্তু শিক্ষিকা হিসেবে সব ছাত্রের মতো তোমাকে আমি এখনও মনে রেখেছি। তোমার সাফল্য আমাকেও গর্বিত করে।

সবচেয়ে ভাল লাগে এটা দেখে যে, আগের মতোই তুমি মুখচোরাই রয়ে গেছো।’ চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, ‘তোমার মতো অনিন্দ্যসুন্দর, শান্ত, অনুভূতিসম্পন্ন মানুষ দ্বিতীয় কাউকে দেখিনি। এবার জানাই আমার একটা আবদার। তোমার হাতে কাপ দেখার অধীর প্রতীক্ষায় রয়েছি। ওটা নিয়েই দেশে ফিরো। এবার বিশ্বকাপ খুবই দরকার আমাদের। তোমারও। আশা করি, সাবেক শিক্ষিকার সেই স্বপ্ন তুমি এবার অবশ্যই পূরণ করবে। মনে রেখো, ঈশ্বর তোমার সঙ্গেই রয়েছেন। আর রয়েছে আমাদের আশীর্বাদ।’ মনিকার মতো মেসির হাতে কাপ দেখার প্রতীক্ষায় রয়েছেন গ্রিসের টেনিস তারকা স্টেফানোস চিচিপাস।

তিনি বলেছেন, ‘লিও এই পৃথিবীর বিস্ময় মানবদের অন্যতম। ওর হাতে কাপ না উঠলে বিশ্বকাপের ইতিহাসও অপূর্ণ থেকে যাবে। লিও, বিশ্বকাপ জিতেই আর্জেন্টিনায় ফিরো। আমরাও সেই মুহূর্তের সাক্ষী হতে চাই।’ মেসির দেশেরই সাবেক নারী টেনিস তারকা গ্যাব্রিয়েলা সাবাতিনি বলেছেন, ‘এবার প্রতীক্ষার পালা শেষ হতে চলেছে। লিওর হাতেই বিশ্বকাপ উঠতে চলেছে। পৃথিবীর কোনোশক্তি তার পথে বাধা হয়ে উঠতে পারবে না। সে সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে কাতারে। ফ্রান্সকে হারিয়েই আর্জেন্টিনা আবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধআগামী ১৫ বছরে বিশ্বকাপ জিততে চায় মরক্কো
পরবর্তী নিবন্ধআবারও প্রতিযোগিতায় জয়া!