মুক্ত ব্রিটনি হাফ ছেড়ে বললেন, আজ আমি কাঁদব

| রবিবার , ১৪ নভেম্বর, ২০২১ at ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ

জীবনটা নিজের হলেও ১৩ বছর ধরে চলছিল বাবার নিয়ন্ত্রণে, তা থেকে মুক্ত হয়ে এখন যেন উড়ছেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স। বাবার কর্তৃত্বের আনুষ্ঠানিক অবসান ঘটার পর ৩৯ বছর বয়সী এই পপ তারকা তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এভাবে-আমার মনে হয়, আজ আমি সারাদিন কাঁদব। খবর বিডিনিউজের।
গত শুক্রবার নিজের ইনস্টাগ্রামে এই পোস্ট দেওয়ার ঠিক আগেই যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসের এক বিচারক ব্রিটনির উপর তার বাবা জেমির কর্তৃত্বের অবসান ঘটানোর আদেশ দেন। বিবিসি জানিয়েছে, ওই সময় আদালত প্রাঙ্গণে ছিল এই পপ তারকার অনুরাগীদের ভিড়, যারা ‘ফ্রি ব্রিটনি স্পিয়ার্স’ আন্দোলনে নেমেছিল সোশাল মিডিয়ায়।
কৈশোরেই তারকা বনে যাওয়া ব্রিটনির দ্বিতীয় বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর একের পর এক কাণ্ডে তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ থেকে ২০০৮ সালে আদালতের এক আদেশেই মেয়ের বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার পেয়েছিলেন জেমি। তখন ব্রিটনির বয়স ছিল ২৬ বছর। নিজের দ্বিতীয় বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর আদালতের আদেশে বাবার ‘খবরদারিতে’ হাঁফিয়ে উঠেছিলেন ব্রিটনি। এক পর্যায়ে আদালতের দ্বারস্ত হন তিনি।
গত ২৩ জুন ভার্চুয়ালি বিচারকের সামনে হাজির হয়ে ব্রিটনি বলেছিলেন, তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। দুই সন্তানের মা এই তারকা শিল্পী বলেন, আরও সন্তান নেওয়ার অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে, ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে সাইকিয়াট্রিক ড্রাগ লিথিয়াম। দিনের পর দিন কেঁদেছেন জানিয়ে ব্রিটনি বলেন, আমি আমার জীবন ফিরে পেতে চাই। তার আবেগঘন ওই বক্তব্য বিচারককেও স্পর্শ করে, যার ধারাবাহিকতায় মুক্ত জীবনে ফিরলেন ব্রিটনি। কোনো মানুষের যখন নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে দুর্বল, কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সামর্থ থাকে না, যুক্তরাষ্ট্রে তখন আদালত ভিন্ন ব্যক্তিকে তার উপর নিয়ন্ত্রণের কর্তৃত্ব দিয়ে থাকে। ব্রিটনির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগায়ক থেকে অভিনেতা
পরবর্তী নিবন্ধএই দিন দিন নয় আরো দিন আছে…