আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অবিস্মরণীয়। ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করা পর্যন্ত ছাত্র শিক্ষক, কর্মচারীরা এক অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে শহীদ হন চাকসুর প্রথম নির্বাচিত জিএস আবদুর রব। এছাড়া প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মচারী মোহাম্মদ হোসেন বীর প্রতীক, ছাত্রনেতা মো. নাজিম উদ্দীন খান, ফরহাদ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা ও শিক্ষক শহীদ হন। আজকের এই দিনে তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার চাকসুর সাবেক ভিপি ও সাবেক এমপি মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী, ভিপি মো. নাজিম উদ্দীন, জিএস মো. জমির চৌধুরী ও মো. আজিম উদ্দিন গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে উপরোক্ত কথা বলেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিগত ৫৫ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক জ্ঞানী, গুণী, গবেষক, নোবেলজয়ী, পন্ডিত ব্যক্তিদের সৃষ্টি করেছেন। যাদের অবদান দেশ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। শুধু দেশে নয়, সারাবিশ্বে তারা আলো ছড়িয়েছেন। অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা মন্ত্রী, এমপি, সামরিক, বেসামরিক, সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সমাজসেবী ব্যক্তিদেরকে সৃষ্টি করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমরা তাই ঋণী। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশে একটি খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দন্ডায়মান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, চাকসুর নির্বাচিত সকল ভিপি ও জিএস, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্রছাত্রী সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয় আজ এই জায়গায় উপনীত। আজকের এই শুভ দিন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের জন্য আনন্দের দিন।