একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়া মীর কাসেম আলীর ২৫ মিলিয়ন ডলার দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা ইউনিটে (বিএফআইইউ) চিঠি দিয়েছে দুদক। গতকাল সোমবার কমিশনের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। খবর বাংলানিউজের। তিনি বলেন, মীর কাসেম আলী যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার পাচার করেছেন বলে অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগের বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান করে। এ অর্থ যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রভাবিত করতে ব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমানে এ অনুসন্ধান বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা ইউনিটের কাছে রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ঠেকাতে মীর কাসেম আলী ওয়াশিংটনের ‘ক্যাসিডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’ নামে একটি ‘ল’ ফার্মকে ২৫ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় পৌনে তিনশ কোটি টাকা) পাঠিয়েছিলেন। লবিস্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ওই চুক্তির কপি এবং টাকা দেওয়ার রসিদ দুদকের অনুসন্ধান টেবিলে রয়েছে। ২০১২ সালের আগস্টের মাঝামাঝি আইন মন্ত্রণালয় থেকে লিখিতভাবে দুদককে এ বিষয়টি জানিয়ে অনুসন্ধান করতে বলা হয়।
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মীর কাসেম আলী জামায়াতের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম মজলিসে শূরার সদস্য। দলটির বড় অর্থ জোগানদাতা হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে। দেশের ধর্ণাঢ্য ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি অন্যতম।