‘তারুণ্যের সমাবেশ’ শেষে ফেরার পথে মীরসরাই উপজেলা বিএনপির যুবদল–ছাত্রদল কর্মীদের উপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে দলের হাই–কমান্ডের কাছে সুপারিশ করবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি। এছাড়া খুব শীগ্রই সংগঠনের আওতাধীন উপজেলা এবং পৌরসভায় সম্মেলন আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি সংস্কার করা হবে দলীয় কার্যালয়ের।
গতকাল শনিবার বিকেলে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্টিত উত্তর জেলা বিএনপির বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংগঠনের আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। এছাড়া কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম প্রধান বক্তা এবং সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুৃমদার ও হারুনুর রশিদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বর্ধিত সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা আজাদীকে জানান, গত বুধবার কাজীর দেউড়ি মোড়ে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মীরসরাই থেকে আসা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের বহনকারী গাড়ি সিআরবিতে রাখা হয়। সমাবেশে শেষে গাড়িতে উঠার জন্য তারা সিআরবি পৌঁছুলে অতর্কিত হামলা করে আহত করা হয়। এর মধ্যে শওকাত আকবর, গোলাম মোস্তফা রিপন ও নূরনবী নামে তিনজন গুরুতর আহত হন। হামলার শিকার নেতাকর্মীরা মীরসরাই উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর অনুসারি হিসেবে পরিচিত। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারিরা এ হামলা করেছে বলে গতকাল উত্তর জেলা বিএনপি’র বর্ধিত সভায় উপস্থিত হয়ে দাবি করেছেন আহতরা। বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার দৈনিক আজাদীকে বলেন, তারুণ্যের সমাবেশের আগে ও পরে উপজেলায় হামলা ও মামলা হয়েছে ওসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উপজেলা ও পৌরসভায় সম্মেলন তাড়াতাড়ি করে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মীরসরাই উপজেলা বিএনপি নিয়ে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে চাইলে বলেন, সেখানে কোনো গ্রুপিং নাই। ছেলেরা–ছেলেরা মারামারি করেছে। ওই বিষয়ে সিরিয়াস অ্যাকশন নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, বিএনপি এখন সংগঠিত। বিএনপির চলমান আন্দোলন অচিরেই এক দফার আন্দোলনে পরিণত হবে। এই আন্দোলনে নেতাকর্মীদের ঝাঁপিড়ে পড়ে সরকারের পতন ঘটানোর আহবান জানান। সভাপতির বক্তব্যে গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, হামলা–মামলা ও গ্রেপ্তার করে আমাদের আন্দোলন স্তদ্ধ করা যাবে না। এই সরকার আবারও ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে চায়। মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, জনগণ রাজপথে নেমেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত জনগণ ও নেতাকর্মীরা রাজপথ ছাড়বে না।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, ছালাহ উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, কাজী সালাউদ্দিন, কর্নেল (অব🙂 আজিমুল্লা বাহার, ডাঃ খুরশিদ জামিল, অধ্যাপক আজম খাঁন, এড আবু তাহের, আব্দুল আউয়াল, জসিম শিকদার, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, আবু আহমেদ হাসনাত, আনোয়ার হোসেন।