মীরসরাইয়ে ভোটে সংঘর্ষ, আহত ২০

স্বতন্ত্রপ্রার্থীর ভোট বর্জন

মীরসরাই প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১২ নভেম্বর, ২০২১ at ৪:৪৪ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্ত গোলযোগ, হামলা-পাল্টা হামলার মধ্য দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষ করে ১২ নম্বর খৈয়াছরায় ভোট দিতে বাধা, ১৩ নম্বর মায়ানীতে বন্দুকযুদ্ধ এবং ৬ নম্বর ইছাখালীতে জাল ভোটের অভিযোগ উঠেছে। এতে সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এদিকে ১২ নম্বর খৈয়াছরার স্বতন্ত্রপ্রার্থী জাহেদ ইকবাল চৌধুরী নিজে ভোট দিতে না পেরে সকাল ১১টায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
খৈয়াছরা ইউনিয়নের স্বতন্ত্রপ্রার্থী জাহেদ ইকবাল চৌধুরী (ঘোড়া) অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকেই কোনো কেন্দ্রে আমার ভোটারদের আসতে দেয়া হয়নি। আমার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। সকাল ৯টায় আমি পরিবার নিয়ে ভোট দিতে বের হলে আমার ও আমার পরিবারের উপর হামলা করা হয়। এসময় আমার কন্যা জাহরিন (১৮), ছেলে মুনতাসির (২০), বোন রাসেদা (৪৫), মিসেস ইকবাল (৪৫), খালেদা চৌধুরী (৪২), গাড়ির ড্রাইভারসহ ১৫ নেতাকর্মীকে আহত করা হয়। তাই বাধ্য হয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিই। তবে এই বিষয়ে প্রতিপক্ষ মাহফুজুল হক জুনু (নৌকা) বলেন, আমাদের কর্মীরা সকল প্রার্থীর ভোটারদের ভোট দিতে সহযোগিতা করেছে। কাউকে বাধা দেয়া হয়নি। জাহেদ ইকবাল চৌধুরীর অভিযোগ ভিত্তিহীন।
১৩ নম্বর মায়ানী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আরশাদ উদ্দিন মাসুদ (মোরগ) অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষ মনা মিয়ার (আপেল) সমর্থকরা আমার ভোটারদের কেন্দ্রে না যেতে ও আতংক সৃষ্টি করতে বন্দুক ও কিরিছ দ্বারা তাড়া করেছে। অনেককে গুলিও করেছে। একই অভিযোগ করেছেন উপজেলার ৬ নম্বর ইছাখালীর স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোস্তফা (আনারস)।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, অভিযোগগুলো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজার সদরে ৩টিতে নৌকা ও ১টিতে স্বতন্ত্র বিজয়ী
পরবর্তী নিবন্ধচেয়ারম্যান পদে বিজয়ী আওয়ামী লীগের ৩১ জন ও স্বতন্ত্র ৫