মিরাজ-সাকিবের ঘূর্ণিতে টাইগারদের বড় লিড

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ১০ জুলাই, ২০২১ at ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ

জিম্বাবুয়ের মাটিতে পেসাররা সুবিধা পেয়ে থাকে। সেটা জানা ছিল সবারই। অন্তত জিম্বাবুয়ের পেসারদের পারফরম্যান্স সে কথাই বলে। যদিও বাংলাদেশের দুই পেসার তেমন সুবিধা করতে পারেনি। যেহেতু বাংলাদেশ স্পিন নির্ভর দলই গড়ে থাকে সেহেতু স্পিনারদের উপরই ভরসাটা বেশি টাইগারদের। সেই স্পিনাররাই শেষ পর্যন্ত ম্যাচে এগিয়ে রাখল বাংলাদেশকে।
দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে শেষ পর্যন্ত ম্যাচে বড় লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশন এবং গতকাল প্রথম সেশনে দাপট দেখানো জিম্বাবুয়েকে ধসিয়ে দেন বাংলাদেশের দুই স্পিনার। দারুণ বোলিং করে মিরাজ এবং সাকিব মিলে নিয়েছেন ৯ উইকেট। যেখানে মিরাজের উইকেট ৫টি। এই দুজনের সাড়াশি আক্রমণে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়েছে ২৭৬ রানে। আর তাতে বাংলাদেশ লিড পেয়েছে ১৯২ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে কোন উইকেট না হারিয়ে ৪৫ রান। ফলে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ২৩৭ রানের।
অভিষিক্ত ওপেনার টাকুদজোয়ানাশে কাইটানোর লড়াকু ইনিংস আর ব্রেন্ডন টেইলরের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে এক সময় খুব ভালো অবস্থানে ছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু পরের দিকের অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইন আপ টিকতে পারেনি বাংলাদেশের স্পিনের সামনে। কাইটানো ও টেইলরের জুটি দ্বিতীয় দিন বিকেলেই জিম্বাবুয়েকে গড়ে দেয় শক্ত ভিত। তৃতীয় দিনও এই জুটি অনেক দূর এগিয়ে নেয় দলকে। এই জুটি ভাঙেন মিরাজ। মিরাজের বলে ইয়াসির আলি রাব্বির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন টেইলর ৯২ বলে ৮১ রান করে। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে ৯৫ রান দিয়ে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ছিল ওই এক উইকেটই। বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু দ্বিতীয় সেশন থেকে। কাইটানো ও আরেক অভিষিক্ত ডিওন মায়ার্সের জুটি যদিও জমে গিয়েছিল। তবে সাকিবের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল সুইপ করতে গিয়ে আউট হন ২৭ রান করা মায়ার্স। দ্বিতীয় নতুন বলের ঠিক আগে টিমাইসেন মারুমাকে ফেরান সাকিব।
এরপর তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ফিরেন রয় কাইয়া। দুজনের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেনি। দ্বিতীয় সেশনে দারুণ বোলিং করা বাংলাদেশ ২৯ ওভারে মাত্র ৩৫ রান দিয়ে তুলে নেয় ৩টি উইকেট। কাইটানো তখনও বাংলাদেশের সামনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করছিল। রেজিস চাকাভার সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন তিনি। সেই চেষ্টা শেষ হয় কাইটানোর বিদায়েই। অভিষেকে অসাধারণ ইনিংসটি থামে ৮৭ রানে। ৩১১ বলের ইনিংস শেষ হয় মিরাজের বলে আলগা কট বিহাইন্ড হয়ে। ৯টি চার মেরেছেন তিনি। কাইটানোর বিদায়ের পর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে স্বাগতিকদের ইনিংস। আর তাতে নেতৃত্ব দেন মিরাজ। যদিও শেষ পর্যন্ত ফলোঅন এড়াতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে। ৮২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখলেন মিরাজ।
২৭ টেস্টে ৫ উইকেট পেলেন তিনি অষ্টমবার। আর দেশের বাইরে দ্বিতীয় বার নিলেন ৫ উইকেট। সাকিবও ৮২ রান খলচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ কোন উইকেট না হারিয়ে করেছেন ৪৫ রান। দুই ওপেনার সাইফ হাসান এবং সাদমান ইসলাম অপরাজিত রয়েছেন যথাক্রমে ২০ এবং ২২ রানে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোরবানি পশু জবাইয়ে ৩০৪টি স্থান নির্ধারণ করবে চসিক
পরবর্তী নিবন্ধকোরবানির পশুর হাট ঘিরে প্রস্তুতি