কোরবানি পশু জবাইয়ে ৩০৪টি স্থান নির্ধারণ করবে চসিক

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১০ জুলাই, ২০২১ at ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ

এবার কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য নগরে ৩০৪ টি স্থান নির্ধারণ করবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। স্থানগুলোতে ত্রিপল টাঙ্গানো হবে। এছাড়া কেরবানিদাতার বসার ব্যবস্থা, পানি সরবরাহ এবং ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ করা হবে। নির্দিষ্ট করে দেয়া স্থানগুলোতে পশু জবাইয়ের আহ্বান জানিয়ে শীঘ্রই প্রচারণা চালাবে সংস্থাটি।
চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনয়নে পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করার নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর প্রেক্ষিতে স্থানের তালিকা তৈরি করেছে পরিচ্ছন্ন বিভাগ। অবশ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ২০১৫ সাল থেকে পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করে দিয়ে আসছে চসিক। তবে প্রতিবারই নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ে আগ্রহ দেখায় না কোরবানিদাতারা। সিংহভাগ কোরবানিদাতা নিজের বাসা-বাড়ির আঙিনায় পশু জবাই করে থাকেন। কোরবানিদাতার আবেগ এবং নিজ নিজ আঙিনায় পশু জবাই ঐতিহ্য ধারণ করায় চসিকও এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।
পরিচ্ছন্ন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে প্রথমবার ৪১টি ওয়ার্ডে ২৭০টি স্থান নির্ধারণ করে দেয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ৩৬৭টি, ২০১৭ সালে ৩৬১টি, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ৩৪১ টি করে এবং ২০২০ সালে ৩০৪টি স্থান নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছিল। চসিকের অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, এবার ৩০৪টি স্পট নির্ধারণ করবো। ইতোমধ্যে আমরা তালিকা তৈরি করেছি। স্পটগুলোতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে কোরবানিদাতাদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা থাকবে। কোরবানিদাতাদের কাছে আহ্বান থাকবে তারা যেন নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই করেন। স্পটগুলোতে পশু জবাই করলে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমও সহজ হবে। এ কর্মকর্তা বলেন, অতীতেও আমরা স্পট নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু লোকজন সেখানে জবাইয়ে আগ্রহী হননি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কোরবানি পশু জবাই ও জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত প্রস্তুতি পর্যালোচনায় গত ১৩ জুন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি সভা হয়। ওই সভায় পশু জবাই ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ১০টি সিদ্ধান্ত হয়েছিল। যা বাস্তবায়নে নির্দেশনা দেয় চসিককে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নগরে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি পশু জবাই নিশ্চিত করতে হবে সিটি কর্পোরেশনকে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পশু জবাইয়ের স্থান, ইমাম ও কসাইয়ের তালিকা করে প্রচারণা চালাতে হবে। এছাড়া পশু জবাইয়ের স্থান স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে হবে। পাশাপাশি বর্ষাকাল বিবেচনায় সেখানে সামিয়ানা বা ত্রিপল টাঙ্গানোসহ বসার ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া নগরে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে জবাইকৃত পশুর নির্দিষ্ট করে দেয়া স্থান দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে। ছিটাতে হবে ব্লিচিং পাউডার। ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাড়ির আঙিনায় পশু কোরবনি করলে নাগরিকদের দ্রুত পরিষ্কার করা এবং ব্লিচিং পাউডার ছিটাতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা স্বাপেক্ষে আগামী ২১ অথবা ২২ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছর ১ থেকে ১০ জিলহজ্ব পবিত্র কোরবানির পশুর হাট বসে নগরে। ওই হিসেবে এবার আগামী ১২ অথবা ১৩ জুলাই থেকে পশুর হাট শুরু হওয়ার কথা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেই পশুর হাট
পরবর্তী নিবন্ধমিরাজ-সাকিবের ঘূর্ণিতে টাইগারদের বড় লিড