টেকনাফের নাফনদে মিয়ানমারের নৌ–বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশী দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতরা হলেন শাহপরীরদ্বীপ দক্ষিণ পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ছিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক (২৫) ও উত্তর পাড়া এলাকার আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল (২০)। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে দশটার দিকে নাফনদের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ জেলেরা শাহপরীর দ্বীপ মাঝের পাড়া এলাকার ছিদ্দিকের ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ ধরা শেষে নাফনদ দিয়ে কূলে ফিরছিলেন। আহতদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে এদের মধ্যে ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়। বর্তমানে তাদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, সেন্টমার্টিন সংলগ্ন সাগরে মাছ ধরা শেষে শাহপরীর দ্বীপ ঘাটে ফিরছিলাম। এসময় নাইক্ষ্যংদিয়া সংলগ্ন অংশে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ আমাদের অতিক্রম করছিল। ওই জাহাজ থেকে হঠাৎ আমাদের ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে আমার দুইজন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মাঝি ইউসুফ আরও বলেন, আমরা নাফনদের বাংলাদেশের জলসীমায় ছিলাম এবং হাত উঁচু করে বাংলাদেশী পতাকা দেখিয়ে তাদের গুলি না করতে ইশারা করছিলাম। এরপরও তারা মানেনি।
টেকনাফ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার প্রণয় রুদ্র বলেন, সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে দুই জেলেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তদের মধ্যে ফারুক নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার ডান পায়ে, বাম পায়ের উরুতে এবং বাম হাতে গুলি লাগে। তাকে আমরা জরুরি চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেছি। মোহাম্মদ ইসমাইল নামের অপরজন হালকা আঘাত পেয়েছেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। টেকনাফ থানার থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি ট্রলারে মিয়ানমারের নৌ–বাহিনীর গুলিতে দুইজন আহত হয়েছে। এ ঘটনার পর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।