মা-বাবা, ভাইবোনকে কুপিয়ে জখম করল যুবক

| শনিবার , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকায় মা-বাবা ও ভাই-বোনকে বটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছেন এক যুবক। আহতরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন আব্দুর রশিদ (৭০), তার স্ত্রী দিলারা বেগম (৫০), মেয়ে রুবিনা আক্তার (২৪) ও ছোট ছেলে ইমতিয়াজ দেওয়ান (২২)। আহত রুবিনা আক্তার উত্তরার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। তার ছোট ভাই ইমতিয়াজ একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আহত ইমতিয়াজ বলেন, দুপুরে জুমার নামাজ পড়ে বাসায় আসি। সেই সময় আমার মা বটি দিয়ে মুরগি কাটছিলেন। হঠাৎ আমার বড় ভাই মায়ের কাছ থেকে বটি নিয়ে বাবাকে কোপাতে শুরু করেন। বাধা দিতে গেলে মা, বোন ও আমি আহত হই। খবর বাংলানিউজের।
ইমতিয়াজ আরও বলেন, বটির আঘাতে আমার বাবার ডান হাতের একটি আঙুল পড়ে গেছে। চিকিৎসার জন্য আমরা চারজনই উত্তরা হাই কেয়ার হাসপাতালে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসি।
বাবা আহত আব্দুর রশিদ জানান, জুমার নামাজ পড়ে বাসায় ঢুকতেই আমার বড় ছেলে দেলোয়ার দেওয়ান (৩২) তার মায়ের কাছ থেকে বটি নিয়ে আমাকে কোপাতে শুরু করে। আমার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে ঠেকাতে গেলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করে সে। পরে বাসা থেকে পালিয়ে যাই।
আব্দুর রশিদ জানান, তার বড় ছেলে দেলোয়ার টেকনাফে সেজান জুসের কারখানায় চাকরি করেন। দুই দিন আগে ছুটিতে ঢাকায় আসেন তিনি। কী কারণে তার ছেলে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা তিনি এখনো বুঝতে পারছেন না। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, আহত আব্দুর রশিদের ডান হাতের একটি আঙুল পড়ে গেছে। দিলারা বেগম, রুবিনা ও ইমতিয়াজের ডান হাতে আঘাত লেগেছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
কয়েক বছর ধরে দেলোয়ার মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন জানিয়ে দক্ষিণখান থানার ওসি মামুনুর রহমান বলেন, স্বামীর মানসিক সমস্যার কারণে তার স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। আজ হঠাৎ তিনি বটি দিয়ে নিজের স্বজনদের কুপিয়ে জখম করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। দেলোয়ার বটি নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেছেন। এলাকার কেউ তাকে আটকানোর সাহস পাননি। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিনোফার্মের ৫০ লাখ টিকা আসছে আজ
পরবর্তী নিবন্ধ‘সিআরবি রক্ষা করতে হবে চট্টগ্রামের স্বার্থে’