চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে থাকা আটককৃত ও অখালাসকৃত বিভিন্ন ধরনের ৫৬ লট পণ্য নিলামে তোলা হচ্ছে আজ। এসবের মধ্যে ১৩ লটই পচনশীল মাল্টা। কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যেও নিলাম কার্যক্রম থেমে নেই। অবশ্যই কঠোর বিধি নিষেধের কারণে যেহেতু গণপরিবহন বন্ধ, তাই নিলাম স্থগিতের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমস নিলাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি কমিশনার বরাবর চিঠিও লিখেছিলেন। তবে সেই স্থগিতের দাবি নাকচ করে দিয়ে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে নিলাম কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, ৫৬ লটের রয়েছে ফেব্রিক্স, মাল্টা, রাসায়নিক পদার্থ, হাইড্রোলিক এসিড, টেক্সটাইল পণ্য, পোশাক শিল্পের কাঁচামাল, প্লাস্টিক হ্যাংগার, চামড়াজাত পণ্য, বেবি ডায়াপার ও প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার।
জানা গেছে, গত ৪ জুলাই থেকে নিলামের দরপত্র ও ক্যাটালগ বিক্রি শুরু হয়। নিলামের ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করে আজ দুপুর ২টার মধ্যে জমা দেয়া যাবে। এরপর বেলা আড়াইটায় বিডারদের উপস্থিতিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে একযোগে নিলামের বাক্স খোলা হবে। এ উপলক্ষে বরাবরের মতোই কাস্টমসের নিলাম শাখায় ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয় এবং রাজধানীর কাকরাইলস্থ শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনারের (সদর) দপ্তরে দরপত্র জমা দেয়ার জন্য বাক্স স্থাপন করা হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার (নিলাম শাখা) মো. আল আমিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশে নিলাম কাজের গতি বৃদ্ধি করা হয়েছে। একইসাথে নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের কাজও চলমান রযেছে।
উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এ সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এ নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এ জন্য বন্দর ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনো চার্জ পায় না।