মামলার নথি থেকে গায়েব ২৭ কোটি টাকার চেক, পরে উদ্ধার

সমিতিকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ মহানগর দায়রা জজ আদালত

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের ৫ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে একটি সিআর মামলার (মামলা নম্বর ১৮৩৭/১৪) নথিতে থাকা ২৭ কোটি ৯৭ হাজার টাকার একটি চেক গায়েব হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মামলাটির একটি পক্ষের সাবেক আইনজীবী জুবাইয়ের মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চেকটি গায়েব করেছেন এমনই অভিযোগ। বিষয়টি আদালত কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচর হলে ওই আইনজীবীর কাছ থেকে পরে সেটি উদ্ধারও করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত আদালতের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা বা কারো প্রতি শোকজ করা হয়নি। তবে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি বিষয়টি নিয়ে মহানগর দায়রা জজের সাথে বৈঠক করেছেন এবং চেক ঘায়েবকারী আইনজীবীর দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন সমিতিই রুলস অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী আজাদীকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তথ্য মতে, উচ্চ আদালতে স্থগিত এন আই এক্টের ১৩৮ ধারার উক্ত মামলার অর্ডার দেখতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকালে নথি থেকে চেকটি গায়েব করা হয়। পরে বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে রাতেই সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার মো. ফরিদ ও আরো কয়েকজন আদালত কর্মকর্তা যোগাযোগ করে আইনজীবীর কাছ থেকে চেকটি নিজেদের হেফাজতে নেন। এদিকে ওই আইনজীবী আজাদীকে জানিয়েছেন, তিনি চেকটি গায়েব করেননি। তিনি এ বিষয়ে কিছু জানতেনও না। আদালত কর্মকর্তারা বিষয়টি জানালে তিনি তার ক্লার্ক ইমতিয়াজের সাথে যোগাযোগ করেন এবং ভয়ভীতি দেখান। একপর্যায়ে ইমতিয়াজ চেকটি তার কাছে বলে জানায় এবং সেটি হস্থান্তর করেন। পরে যোগাযোগ করে নগরীর আগ্রাবাদে গিয়ে আদালত কর্মকর্তাদের হাতে চেকটি তুলে দেন।
চেক গায়েবের ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটে। পরে রাতেই সেটি উদ্ধার হয়। তবে এতোদিন ঘটনা জানাজানি হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি চেপে রাখেন। গতকাল সোমবার সকালেই চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা জানাজানি হয়। এ বিষয়ে পেশকার মো. ফরিদ মাহমুদ বলেন, এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। তবে বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না। উর্ধ্বতনরা বিষয়টি দেখছেন। মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা দীপেন দাশগুপ্তও আজাদীর কাছে বিষয়টি স্বীকার করেন এবং বলেন, এ বিষয়ে মহানগর দায়রা জজ ও আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সেক্রেটারির মধ্যে আলাপ হয়েছে। সমিতিকেই পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে সমিতির সেক্রেটারি মো. এনামুল হক আজাদীকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আদালতের পক্ষ থেকে অফিসিয়ালি কোনো কিছু জানানো হয়নি। তাই মন্তব্য করতে পারব না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে করোনায় আরো ৬ মৃত্যু শনাক্ত ৬৪
পরবর্তী নিবন্ধনগরীর মাত্র এক তৃতীয়াংশ বাড়িতে ওয়াসার সংযোগ