মানসিক বিকৃতির আরেক নাম টিকটক। আজকাল বিষয়টা করোনাভাইরাসের মতোই দ্রুত ছড়াচ্ছে। বিকৃতভাবে অঙ্গভঙ্গিমা করে যাচ্ছেতাই শব্দ কিংবা গান যোগ করে বীভৎস প্রকৃতির ভিডিও তৈরী করাটা মানসিকতার বিকৃতি ভিন্ন অন্য কিছু বলে আমার মনে হয় না। ফেসবুকে যাই কিংবা ইউটিউবে যাই সব জায়গাতে এই ধরনের ভিডিওগুলো সামনে আসে। এতো ইগনোর দিই, রিপোর্ট দিই, তবু কোনো না কোনোভাবেই এসব সামনে চলে আসে। সেই সাথে আশেপাশের লোকজনদের মোবাইল / কম্পিউটার থেকে আসা এসবের বিদঘুটে শব্দ তো আছেই। পদ্মাসেতুর কথাই ধরা যাক। এত নিষেধাজ্ঞা, কড়াকড়ি। চলাচল নিষিদ্ধ করা হলো, সাইকেল নিষিদ্ধ করা হলো, ত্রিচক্রযান নিষিদ্ধ করা হলো, গাড়ি থামিয়ে ছবি তোলা নিষিদ্ধ করা হলো এমনকি মোটরসাইকেলের উপরেও পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। এত নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালের মধ্যেও এসব মানসিক বিকৃতিসম্পন্ন লোকজনদেরকে দমানো যাচ্ছে না। আমার মনে হয় অতি দ্রুতই এ ধরণের মানসিক বিকৃতিকারী অ্যাপগুলো চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করা উচিৎ এবং এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।অন্যথায় উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা বিকৃতি মানসিকতাসম্পন্ন হয়ে উঠবে এবং শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ধ্বংস অনিবার্য।