মানব পাচারের অভিযোগে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের আমিরাবাদ থেকে কামরুল হাসান চৌধুরী ও মঈনুল হাসান চৌধুরী নামে দুই ভাইকে আটক করেছেন র্যাব। গত বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে র্যাব সদস্যরা তাদের বাড়ি থেকে আটক করে ঢাকায় র্যাব-৩ কার্যালয়ে নিয়ে যান। ক্রোয়েশিয়া ফেরত এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে দুই ভাইকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাশ। এর আগে সকালে আটক দুই ব্যক্তির ছোট ভাই জিয়াউল হাসান চৌধুরী বিষয়টি সীতাকুণ্ড মডেল থানার পুলিশকে জানান। পরে বিষয়টি তদন্ত করতে সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এইচ এম দেলোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে যান।
আটক দুই ব্যক্তির ভাই জিয়াউল হাসান চৌধুরী জানান, তার ভাই কামরুল হাসান চৌধুরী ঢাকার একটি রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে কাজ করেন। ওই এজেন্সির মাধ্যমে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আলফাই আল হোসাইন নামের উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাকে আট লাখ টাকার চুক্তিতে ক্রোয়েশিয়ায় পাঠানো হয়। ক্রোয়েশিয়া প্রবাসীর সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের যোগাযোগ ছিল। চুক্তির টাকার মধ্যে ২ লাখ ৪ হাজার টাকা বাকি ছিল। সেই টাকা দিতে গড়িমসি করতে থাকায় ১২ মে ভাইয়ের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই টাকার বিষয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে বুধবার রাতে র্যাব পরিচয়ে ৮ থেকে ১০ জন বাড়ির কলাপসিবল গেট ভেঙে ঘরে ঢুকে দুই ভাইয়ের কাছ থেকে সাদা কাগজে সই নেন। এরপর তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
র্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাশ বলেন, ক্রোয়েশিয়া ফেরত সীতাকুণ্ডের এক বাসিন্দা কোয়ারেন্টিন শেষ করে তাদের কার্যালয়ে গিয়ে কামরুল ও মঈনুলের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। মানব পাচারের অভিযোগের সত্যতা পেলে সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা হবে।