মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর থেমে না থাকার ব্রত

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ১৫ জানুয়ারি, ২০২২ at ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ

নিবন্ধের সূচনায় তৃতীয় মেয়াদে সরকার পরিচালনায় অভূতপূর্ব সার্থক-সাফল্য-কীর্তিগাঁথায় বিশ্বপরিমন্ডলে দেশকে উঁচুমার্গের মর্যাদায় সমাসীন করার গৌরবোজ্জ্বল তিন বছর পূর্তিতে মুক্তির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা, তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার-দলসহ সমগ্র দেশবাসীকে অকৃত্রিম শ্রদ্ধা-শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি। ৭ জানুয়ারি ২০২২ এ উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেশপ্রেম-দৃঢ়চেতা-নির্ভীকতা-প্রজ্ঞার অপূর্ব সমন্বয়ে প্রদত্ত ভাষণ ছিল প্রকৃষ্ট আশাজাগানিয়া প্রোৎসাহিত মাঙ্গলিক অনুপ্রেরণার পান্ডুলিপি। বক্তব্যে তিনি দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা অনেকেরই সহ্য হচ্ছে না। দেশে-বিদেশে বসে বাংলাদেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এই অগ্রযাত্রাকে রুখতে নানা ষড়যন্ত্র করছে। মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। বিদেশে আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে। কেউ যাতে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেদিকে আমাদের সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’ তিনি কুপমন্ডুকতা-প্রতিবন্ধকতা দূর করে অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে ভুমিকা রাখার উদাত্ত আহ্বান জানান। ভাষণে তাঁর দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এবং দুর্নীতিবাজ যে দলেরই বা যত শক্তিশালী হোক তাদের ছাড় না দেওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেন। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ পারস্পরিক সহনশীলতা বজায় রেখে বসবাসের জন্য কঠোর হাতে জঙ্গিবাদের উত্থানকে প্রতিহত করার বিষয়টিও দেশবাসী অবহিত হয়েছেন।
উক্ত ভাষণে গত তিন বছরে সরকারের নানা উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ২০২২ সালকে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের মাইলফলকের বছর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সকল ষড়যন্ত্র-প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণাধীন বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু আগামী জুন মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষে উদ্বোধনের এবং এই সেতু জিডিপিতে ১ দশমিক ২ শতাংশ হারে অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়াও এ বছরের শেষ নাগাদ রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার অংশে ঢাকার পরিবহন খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনে সহায়ক মেট্রোরেল এবং আগামী অক্টোবরে চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে দেশের প্রথম টানেলটিও চালু করা হবে বলে জানান। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন করে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় এর প্রকোপ থেকে সুরক্ষায় সতর্ক থাকার পাশাপাশি টিকা নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। দেশের জনগণের করোনা টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ বর্ণনায় প্রধানমন্ত্রী চলতি মাস থেকে গণটিকার মাধ্যমে প্রতি মাসে এক কোটি টিকার আওতায় আনার কর্মসূচি নেওয়ার কথা ব্যক্ত করেন। তাঁর প্রদত্ত ভাষণের তথ্য মতে, দেশে এ পর্যন্ত ১২ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে যার মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন প্রায় ৭ কোটি ৫৮ লাখ আর দুই ডোজ পেয়েছেন ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৮২ হাজার এবং বর্তমানে সাড়ে ৯ কোটির বেশি ডোজ টিকা মজুদ রয়েছে।
করোনাকালীন পর্যুদস্ত দেশের অর্থনীতির গতি সচল রাখতে সরকারের কর্মযজ্ঞ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহামারি বিশ্ব অর্থনীতিতে এক গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। অনেক দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিও ক্ষতির মুখে পড়েছে। নেমে এসেছিল স্থবিরতা। তবে দেশবাসীর সহায়তায় সরকার তা অনেকটা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। বিভিন্ন নীতিসহায়তা এবং উদারনৈতিক আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ প্রদানের মাধ্যমে সরকার অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। করোনার অভিঘাত মোকাবিলা করে গত অর্থবছরে দেশের জিডিপি ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রক্ষেপণ অনুযায়ী জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২১ এ মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলারে। দ্য ইকোনমিস্ট ২০২০ সালের প্রতিবেদনে বলেছে ৬৬ উদীয়মান সবল অর্থনীতির দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান নবম। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বর ২৪ তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর ২০২১-২০২৫ মেয়াদি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়েছে, যা বাস্তবায়নে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪ লাখ ৯৫ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্র। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শেষে দারিদ্র্যের হার ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ এবং চরম দারিদ্র্যের হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশে নেবে আসবে। ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশে।’
তিনি ভাষণে উল্লেখ করেন যে, ২০০৯ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১৩ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আর্থ-সামাজিক এবং অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশ বিস্ময়কর উন্নয়ন করেছে। ২০২১ সাল ছিল উন্নয়ন অভিযাত্রার এক অভূতপূর্ব স্বীকৃতির বছর। গত বছর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত যোগ্যতা অর্জন করেছে। দেশবাসীসহ সমগ্রবিশ্ব অবগত হয়েছেন; বাংলাদেশ ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছে। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা এই তিনটি প্রধান সূচকের মধ্যে দুটি সূচকে সক্ষমতা অর্জনের শর্তে উন্নয়ন অবস্থান নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বঙ্গকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতিতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার অভিযাত্রার সাফল্য হিসেবে তিনটি সূচকেই বাংলাদেশ অগ্রগণ্য অবস্থান নিশ্চিতে সক্ষম হয়। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক চেতনায় দেশের সকলকে সাথে নিয়ে ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত করার জন্য প্রতিনিয়ত রোডম্যাপ বা রূপকল্প প্রণয়ন/কার্যকর করার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
এটি সর্বজনবিদিত; যে কোন জাতিরাষ্ট্রের টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন মূল্যায়নে দক্ষ জনগোষ্ঠী প্রণিধানযোগ্য নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত। মুক্তির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার উদ্দেশ্যে সূচনালগ্ন থেকেই মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রয়োগিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে তাঁর আজীবন লালিত স্বপ্ন ও সংগ্রামের অমিত ফসল স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন ও যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ বিনির্মাণে ‘এসো দেশ গড়ি’ প্রত্যয়কে অবিচল ধারণ করেই মানবসম্পদ উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেন। সুপরিকল্পিত কর্মকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে নিরলস মেধা-নিষ্ঠার সমন্বয়ে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি-ধর্মীয়-নৈতিক শিক্ষাকে একীভূত করে আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক গুণগত শিক্ষার মানদন্ডকেই মানবসম্পদ উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু রূপে চিহ্নিত করা হয়।
সরকারের সমসাময়িক বাজেট বিশ্লেষণ মানবসম্পদ উন্নয়নের সঠিক চিত্র যথাযোগ্য অনুধাবনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্যখাতসহ সামাজিক খাতসমূহে অধিক বিনিয়োগের অপরিহার্যতায় সরকার সংশ্লিষ্ট খাতে বাজেট বরাদ্দ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করেছে। খাতগুলোকে পূর্ণতাদান ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কার্যকরণে ২০২১-২২ অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৪৭ কোটি ( মোট বাজেটের ২৫.৮১ শতাংশ)। জাতিসংঘের মানবউন্নয়ন প্রতিবেদন ২০২০ অনুযায়ী মানব উন্নয়ন সূচকে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৩ তম যা ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ছিল যথাক্রমে ১৪২, ১৩৯ ও ১৩৬ তম। মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে নেপাল, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অবস্থান বাংলাদেশের নিম্নতর পর্যায়ে হলেও ভারত, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, ভূটান এর অবস্থান এখনো বাংলাদেশের উর্ধ্বে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র সর্বশেষ ২০১৬-১৭ শ্রমশক্তি জরিপ অনুসারে দেশে ১৫ বছরের উর্ধ্বে অর্থনৈতিকভাবে কর্মক্ষম মোট শ্রমশক্তি ৬ দশমিক ৩৫ কোটি। বিপুল সংখ্যক কর্মক্ষম এই জনসম্পদকে যথাযথভাবে ব্যবহার করে জনভিত্তিক লভ্যাংশ আহরণে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। মানবসম্পদ উন্নয়নের নিরন্তর প্রয়াসে সুবিধাবঞ্চিত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান পরিবর্তনে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ অবশ্যই সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ‘একটি রাষ্ট্রের লক্ষ্য : বাংলাদেশের উন্নয়নের অনন্য যাত্রা’ শীর্ষক শিরোনামে বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে সর্বপ্রথম প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে স্বাধীনতার পাঁচ দশকে বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্জনের কথা তুলে ধরে বলা হয়েছে, অপেক্ষাকৃত তরুণ দেশটির বয়স মাত্র ৫০। এই অল্প সময়ে দারিদ্র্য কমিয়ে প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যখন স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম হয়; তখন এটি ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ। পরবর্তী ৫০ বছরে রূপান্তরের মাধ্যমে উন্নয়নের অনেক গল্প যুক্ত হয়েছে দেশটির ইতিহাসে। প্রাথমিক শিক্ষা এখন সবার নাগালে। লাখো নারী কর্ম ক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে। মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের বিষয়ে দারুণ অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশের এই সাফল্যের পেছনে অনেক ঘটনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে -মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগ। শিল্প ও সেবা, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, অবকাঠামোসহ অন্য খাতেও বড় বিনিয়োগ হচ্ছে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশটি এখন অনেকটাই দক্ষ এবং প্রস্তুত। ফলে দেশের অর্থনীতি মজবুত একটি ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আবারও বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তাঁর থেমে না থাকার প্রতিশ্রুতি-ব্রত দেশবাসীকে নবতর চেতনায় উজ্জীবিত করেছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রকে পরিপূর্ণ অবজ্ঞা ও পরাস্ত করে দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাকে অধিকতর উঁচুমাত্রিকতায় পৌঁছিয়ে দেওয়ার শপথ বাক্য উপস্থাপনে তিনি বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ যতটুকু পারি জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দেশের দুঃখী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে যাব। দেশবাসীকেও আমি সে আহ্বান জানাই আজকের যে অগ্রগতিটা হয়েছে সেটা ধরে রেখে যেন আরও এগিয়ে যেতে পারি সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে।’ মহান স্রষ্টার পবিত্রতম দরবারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য-দীর্ঘায়ু ও দেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির প্রার্থনা জানিয়ে নিবন্ধের ইতি টানছি।

লেখক: শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধটেকনাফে বুলু ডাকা অস্ত্র ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার