মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামে মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সমীপে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে সংগঠনের আঞ্চলিক শাখার সভাপতি সৈয়দ লকিতুল্লাহর সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ–সভাপতি রনজিৎ কুমার নাথ, আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক অঞ্চল চৌধুরী, মহানগরীর সভাপতি নুরুল হক ছিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কানুনগো, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক তাপস চক্রবর্ত্তী, উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. জাকের হোসেন। বক্তব্য রাখেন আ ক ম শহীদুল্লাহ মানিক, শ্যামল দে, ফরিদা বেগম, কাঞ্চন বিশ্বাস, ফিরোজ চৌধুরী, সুভাষ সরকার, আবুল কালাম, এ.কে.এম মঈন উদ্দীন, আবদুল গাফ্ফার, অজিত ধর, ভানু রানী দে প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী সমীপে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষে উপ–পরিচালক (স্থানীয় সরকার) বদিউল আলম স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয় করণের দাবিতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ ঘন্টার কর্মবিরতি ও আগামী ২০ মার্চ সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিদের মহাসমাবেশ অনষ্ঠিত হবে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষার প্রায় ৯৫% পরিচালিত হয় বেসরকারি শিক্ষক–কর্মচারী দ্বারা। একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি–বেসরকারি শিক্ষক–কর্মচারীদের মধ্যে পাহাড়সম বৈষম্য। এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ মাত্র ২৫% উৎসব ভাতা ১,০০০/-টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০/-টাকা চিকিৎসা পান। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে প্রদান করা হয়। তাছাড়া সহকারি শিক্ষক উচ্চতর স্কেল প্রদান না করার ফলে উচ্চতর স্কেল প্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারি প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় সহকারি প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।