বঙ্গবন্ধু টানেলের দুইপ্রান্তে হবে দুটি থানা

মাদক সম্পৃক্ততায় চাকরিচ্যুত হয় ৪০ পুলিশ ।। গণবদলিতে আমার কোনো ভূমিকা ছিল না ।।মতবিনিময়ে সিএমপির বিদায়ী কমিশনার

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৫ জুলাই, ২০২২ at ৭:৪২ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণ হওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দুইপ্রান্তে দুটি থানার অনুমোদন দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। বঙ্গবন্ধু টানেলের নিরাপত্তা বিবেচনায় মন্ত্রী পরিষদ বৈঠকে পাশ হওয়া সাপেক্ষে টানেল চালুর আগেই থানার জনবল নিয়োগ দেবে পুলিশ সদরদপ্তর। প্রস্তাবিত অপর দুটি থানাও প্রক্রিয়াধীন আছে। গতকাল দুপুরে সিএমপি কমিশনারের সভা কক্ষে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিদায়ী কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম নগরের অধিবাসীর তুলনায় জনবল বাড়ানোর বিষয়ে আগের দুই কমিশনার সদর দপ্তরে জানিয়েছেন। সদর দপ্তর বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রেখেছে। পুলিশের মাদক সম্পৃক্ততায় সিএমপি কী পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদকের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের অবস্থান জিরো টলারেন্স। কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় ডিপার্টমেন্ট নেবে না। প্রায় ৪০জন পুলিশ মাদক সম্পৃক্ততায় চাকরিচ্যুত হয়েছে। অনেকেই কারাগারে আছে। সিএমপিতে গণবদলি (বিশেষ করে চট্টগ্রামে বাড়ি যাদের) নিয়ে দারুণ অসন্তোষ ছিল মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যেও। কারও ধারণা ছিল এ বদলিতে সিএমপি কমিশনারের হাত রয়েছে, কেউ ভাবতেন, হাত না থাকলেও সিএমপি কমিশনার চাইলে এই বদলি রুখতে পারতেন। মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের উত্তরে বিষয়টা খোলাসা করেন বিদায়ী কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। বলেন, এই গণবদলিতে বরং আমার ক্ষতি হয়েছে বেশি। নতুন অফিসারদের নতুন করে টিউন করতে গিয়ে আমি তথা সিএমপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এই বদলিতে আমার কোনো ভূমিকা ছিল না বলে।
সিএমপি কমিশনার বলেন, আমি বিদায় নিচ্ছি। বিষয়টি এখন ক্লিয়ার করা দরকার। আমার অনেক কলিগের মন খারাপ। তাদের ধারণা, আমি চট্টগ্রামের লোক বিদায় করেছি। এটি সঠিক নয়। বদলিতে আমার অনেক পছন্দের অফিসারকেও চলে যেতে হয়েছে। আমি লিখিতভাবে পুলিশ সদর দপ্তরকে বিষয়টি পুর্নবিবেচনার কথা জানিয়েছিলাম, অনুরোধ করেছিলাম।
তিনি আরো বলেন, আসলে পুলিশ সদর দপ্তরেরও কোনো দোষ নেই। কোনো না কোনোভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হয়েছে যে, অনেক পুলিশ সদস্য নিজ নিজ এলাকায় কাজ করছেন। তো, এটা তো জেলায় সম্ভব না। একমাত্র মেট্রো এরিয়ায় এই সুযোগ আছে। সে জন্য সারাদেশে মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিট থেকে অনেককে বদলি করা হয়েছে। রেঞ্জ থেকে অনেককে বদলি করা হয়েছে। সিএমপিতে সিলেট রেঞ্জ-বরিশাল রেঞ্জ থেকে অনেকে বদলি হয়ে এসেছেন। সিএমপি কমিশনার তানভীর বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সিএমপিতে বদলিটা বেশি হয়েছে। এ জন্য এটি সবার বেশি নজরে পড়েছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আমি, সিএমপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক অর্ডারে ২১ জনের বদলি হয়েছে। এদের মধ্যে শুধু পাঁচজন পদোন্নতির কারণে এবং বাকিগুলো চট্টগ্রামে বাড়ি হওয়ার কারণে। পুলিশ সদর দপ্তর চাপে ছিল। এটিও ঠিক যে নিজ এলাকায় কাজ করতে গেলে কিছু সমস্যা হয়। তবে বদলিটা ফেইজ বাই ফেইজ করলে ভালো হতো। একসঙ্গে বদলির কারণে আমার সমস্যা হয়েছিল। একগাদা নতুন অফিসার নিয়ে টিউনিং করাটা কঠিন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসকালে ইঞ্জিন বিকল, বিকালে তেলের ট্যাংকার লাইনচ্যুত
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আরসিবিসির মামলা খারিজ