কক্সবাজারের চকরিয়ার কৈয়ারবিলে মাতামুহুরী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ থাকা তরুণ শফি আলমের (৩৩) মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজের ২৮ ঘণ্টা পর বিএম চরের কন্যারকুম এলাকায় নদীর তীরে তাঁর লাশটি পড়ে থাকতে দেখে প্রত্যক্ষর্শীরা খবর দিলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে। তার গলায় রশি পেঁচানো ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে। তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হতে পারে বলে দাবি করছে পরিবার। পুলিশ বলছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড না-কি নদীতে তলিয়ে গিয়ে সে মারা গেছে তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কঙবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া শফি আলম কৈয়ারবিল ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের নতুন খালের মুখ এলাকার মৃত আবদুস সোবহানের পুত্র।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নতুন মুখ এলাকায় জুয়ার আসরে পুলিশ অভিযান চালাতে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন জুয়াড়ি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে শফি আলম নিখোঁজ থাকে। তার বড়ভাই মো. আলম ও বড় বোন মরিয়ম খাতুনের অভিযোগ- তাঁদের ছোট ভাই শফি আলমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের দাবি- ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিন নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) এনামুল হকের প্রতিদ্বন্দ্বীর হয়ে প্রকাশ্যে মাঠে তৎপর ছিলেন শফি আলম। সেই বিরোধের জের ধরে শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে শফি আলমকে ধরে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে এবং মুখে-গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ নদীর তীরে কাঁদামাটিতে পুঁতে রাখে এনাম মেম্বারসহ তার লোকজন। পরে রাত দেড়টার দিকে জুয়ার আসরের কথা বলে সেখানে পুলিশ নিয়ে যান এনাম মেম্বার।
শফি আলমের ব্যবহৃত মুঠোফোন এবং কিছু নগদ টাকা মেম্বার এনামের কাছে রয়েছে বলে দাবি করেন তারা। তবে মেম্বার এনাম পুলিশের কাছে সেগুলো হস্তান্তর করেছেন বলে জানান। সেই সাথে মেম্বার এনামুল হক তার বিরুদ্ধে আনীত ‘পরিকল্পিত হত্যার দাবি’কে ‘ষড়যন্ত্র’ উল্লেখ করে বলেন, ‘তাদের পরিবারের সাথে আমার ভাল সম্পর্ক। জুয়ার আসরে পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে শফিসহ বেশ কয়েকজন নদীতে ঝাঁপ দেয় এবং নিখোঁজ থাকে।’
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘মাতামুহুরী নদী তীর থেকে নিখোঁজ শফি আলমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কঙবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। শফির গলায় রশি পেঁচানো ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’











