মাঠে নামতে পারাটাই বড় স্বস্তির শাখাওয়াত রনির

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ২ অক্টোবর, ২০২০ at ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

করোনার কারণে দেশের কোথাও এখনো খেলাধুলা শুরু হয়নি। তবে ক্রিকেটার এবং ফুটবলাররা অনুশীলন করছে। সেদিক থেকে এগিয়ে থাকছে চট্টগ্রাম। কারন সবার আগে চট্টগ্রামেই শুরু হচ্ছে ফুটবল টুর্নামেন্ট। অবশ্য সেটা ক্রীড়া মন্ত্রনালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিধি বিধান মেনে। আগামী ৯ অক্টোবর মাঠে গড়াবে চট্টগ্রামে মুজিব বর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্ট। যেখানে অংশ নিচ্ছে চারটি দল। আর সে চার দলে খেলবে চট্টগ্রামের ফুটবলাররা । যারা দেশের সর্বোচ্চ লেবেল থেকে শুরু করে চট্টগ্রামের লিগেও খেলছে। আর এই চার দলের নামকরন করা হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার চার প্রয়াত সাধারন সম্পাদকের নামে। তাদের মধ্যে একটি হচ্ছে এস এম কামাল উদ্দিন একাদশ। এ দলটির নেতৃত্বে রয়েছে জাতীয় দলের ফুটবলার শাখাওয়াত রনি। যেহেতু এটি একটি টুর্নামেন্ট সেহেতু সেখানে জয় পরাজয় কিংবা শিরোপা জেতার একটা লক্ষ্য থাকবে। তেমনটি রয়েছে রনিরও। তার লক্ষ্য ফাইনাল খেলা। তবে তার চাইতে বড় লক্ষ্য হচ্ছে গত সাত মাসে হারিয়ে ফেলা রিদম ফিরে পাওয়া। যেহেতু জাতীয় দলের পাশাপাশি দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল লিগ বাংলাদেশ লিগে খেলেন রনি চ্যাম্পিয়ন দলের হয়ে, তাই তার কাছে নিজেকে ফিট রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। গত সাত মাস ধরে মাঠের বাইরে ফুটবলাররা। আর ঘরে বসে নিজেদের ফিট রাখা যায় না বলে জানালেন রনি। তবে করোনার প্রকোপ না কমরেও গত মাস দুয়েক চট্টগ্রামের ফুটবলারদের নিয়ে অনুশীলন করেছে রনিরা। তবে সেটা মোটেও একজন পেশাদার ফুটবলারের জন্য পর্যাপ্ত নয়। তাই এই টুর্নামেন্ট নিয়ে নিজেদের ফিটনেস লেবেলটাতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান জাতীয় দলের এই স্ট্রাইকার। পাশাপাশি তার প্রত্যাশা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ লিগ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শুরু হয়ে যাবে। আর সেটা হলে হয়তো তাদেরকে এই টুর্নামেন্টের পর আর বসে থাকতে হবেনা। কারন তার আগে হয়তো ফেডারেশন কাপও শুরু হয়ে যেতে পারে। সে প্রত্যাশায় এখন দিন গুনছেন রনিরা।

শাখাওয়াত রনিদের মত জাতীয় তারকারা হয়তো খেলার সুযোগ পাবে সর্বোচ্চ পর্যায়্‌ে চট্টগ্রামের যেসব ফুটবলার রয়েছে যারা সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার সুযোগ পান না তাদের কি হবে ? দলটির কোচ হায়দার কবির প্রিন্স জানান, আসলে বলতে গেলে দেশে সবকিছু এখন চালু হয়ে গেছে। মুজিব বর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়ে খেলাধুলাও মাঠে গড়াবে। তাই আমরা আশা করব, এই টুর্নামেন্টের পর চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন নিয়মিত খেলাধুলা মাঠে নামানোর চেষ্টা করবে। যাতে চট্টগ্রামের অন্যসব ফুটবলারদের আর বসে থাকতে না হয়। করোনার প্রকোপ যদি বাড়ে তাহলেতো সে বিষয়ে কারো কিছু করার থাকবেনা। তবে সবার প্রত্যাশা এই বঙ্গবন্ধু জন্মশত বার্ষিকী টুর্নামেন্ট যেন খেলাধুলার বদ্ধ দুয়ার যেন খুলে দেয়। চট্টগ্রামের ছেলে শাখাওয়াত রনি তার নিজ শহরে খুব বেশি খেলার সুযোগ পায়নি। আর সে কারণেই হয়তো এই টুর্নামেন্ট নিয়ে বেশ উচ্ছসিত তিনি। তিনি ধন্যবাদ জানান জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে এ রকম একটি সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য। যে দল নিয়ে মাঠে নামবেন রনি সে দল নিয়ে যেতে চান ফাইনালে। তারপরে কি হবে সেটা সময় বলে দেবে। আপাতত তাই ফাইনালকে লক্ষ্য করে মাঠে নামতে চায় রনির দল এস এম কামাল উদ্দিন একাদশ। টুর্নামেন্টের দল পরিচিতির প্রথম দিনে গতকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিল দলটি। যেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের ম্যানেজার এ এস এম সাইফুদ্দিন চৌধুরী এবং টুর্নামেন্ট কমিটির সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেলেন সাকিব
পরবর্তী নিবন্ধডিসেম্বরে ফেসবুকে বন্ধ হচ্ছে ফার্মভিল