মাঠে অপরিপক্ব ধান, দুশ্চিন্তায় কৃষক

চকরিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ১৩ মে, ২০২৩ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

উপকূলের দিকে প্রবল বেগে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মোখা। এর সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষায় বোরো ধান গোলায় তোলার নির্দেশনা থাকলেও কক্সবাজারের চকরিয়ায় এখনো তা মাঠেই পড়ে রয়েছে। মূলত অনাবৃষ্টি ও লবণ পানির আধিক্য থাকায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেকটা দেরিতেই বোরো আবাদে নামতে বাধ্য হন প্রান্তিক কৃষকেরা। এজন্য বর্তমানে অনেক মাঠে কাঁচা বা অপরিপক্ক অবস্থায়ই রয়েছে ক্ষেতের ধান। এই অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার শঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। তবে অনেক ইউনিয়নে বেশ তোড়জোড় চলছে পাকা ধান কেটে দ্রুত নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক স্থানে প্রান্তিক কৃষক এখনো পাকা ধানও গোলায় তুলতে পারেনি। এই অবস্থায় ঘরে নারীরাও মাঠে বেশ তৎপর রয়েছে পাকা ধান গোলায় আনতে।

গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পৌরসভা ছাড়াও ফাঁসিয়াখালী, ডুলাহাজারা, খু্‌টাখালী, কৈয়ারবিল, লক্ষ্যারচর, কাকারাসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে এই চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। কথা হয় ফাঁসিয়াখালীর পশ্চিম দিগরপানখালীর কৃষক রহিম উল্লাহ, ঘুনিয়ার জাকের হোসেনের সঙ্গে।

তারা জানান, বোরো ধান আবাদের শুরুতে একেবারেই বৃষ্টিপাত ছিল না। তার ওপর দাবদাহের কারণে ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এই অবস্থায় পানির সেচ সমস্যা থাকায় অনেক দেরিতে বোরো আবাদে মাঠে নামেন প্রান্তিক কৃষকেরা। তাই মাঠে মাঠে রোপিত বোরো ধান এখনো অপরিপক্ক অবস্থায় রয়েছে। এজন্য ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে এমন পূর্বাভাস থাকলেও কিছুই করার নেই তাদের।

অপরদিকে যেসব মাঠে এখনো পাকা ধান পড়ে রয়েছে তাও শ্রমিক সংকটের কারণে দ্রুতই গোলায় তুলতে পারছেন না কৃষক। এমনটাই জানালেন প্রান্তিক কৃষকেরা।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম নাসিম হোসেনের দাবি, ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ মাঠের পাকা ধান গোলায় উঠে গেছে। ১০ শতাংশ পাকা ধান গোলায় নেওয়ার তোড়জোড় চলছে। অবশ্য নানা কারণে বোরো আবাদ অনেক ইউনিয়নে দেরিতে হওয়ায় সেই মাঠের ধান এখনো পরিপক্ক হয়নি। তাই সেসব মাঠের অপরিপক্ক ধান মাঠেই রয়েছে। এতে কারোরই কিছুই করার নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে ফিরেনি সহস্রাধিক ফিশিং বোট, দুশ্চিন্তায় লিচুচাষীরা
পরবর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে স্কুল ছাত্রীকে তুলে নেয়ার চেষ্টা দুই বখাটের, আটক ১