‘মাটির মানুষ’ ফিরে গেলেন মাটির কোলে

| মঙ্গলবার , ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৪:৪২ পূর্বাহ্ণ

বর্ষণমুখর এক বিকালে চিরবিদায় জানানো হল বাংলা সংগীত জগতের এক দিকপাল গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও এফডিসিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর গতকাল সন্ধ্যায় পরিবার ও সহকর্মীদের উপস্থিতিতে বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন তিনি। এ সময় স্বজন আর ভক্ত-অনুরাগীদের কান্না এবং তাকে নিয়ে সবার স্মৃতিমালায় ভারী হয়ে ওঠে বনানীর পরিবেশ। খবর বিডিনিউজের।
এফডিসিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় চিত্রনায়িকা ও নির্মাতা অরুণা বিশ্বাস বলেন, একজন মানুষ এত এত প্রতিভার অধিকারী, তারপরও কী মোলায়েমভাবে মিশতেন সবার সঙ্গে। এমন মাটির মানুষ সোনার বাংলায় অনেক অনেক দরকার ছিল। বনানীতে নেওয়ার আগে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে জানাজায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, দেশের শিল্পাঙ্গনে তার অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না।
‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল’ এর মতো কালজয়ী দেশাত্মবোধক গানের পাশাপাশি ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’ এর মতো জনপ্রিয় অসংখ্য গানের স্রষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার। ৭৯ বছর বয়সে গত রোববার ভোরে মারা যান এই গীতিকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, যিনি একইসঙ্গে রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদে।
গতকাল সকালে তাকে নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। রাষ্ট্রীয় সম্মান, গান স্যালুট, আর সহযোদ্ধা, সহকর্মীদের অশ্রুভরা ভালোবাসায় বিদায় জানানো হয় তাকে। দুপুর ১টায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কফিন নেওয়া হয় বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন- বিএফডিসিতে। সেখানে তাকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান সংগীতশিল্পী, চলচ্চিত্রশিল্পী, নির্মাতা, লেখক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সহকর্মীরা।
বিকালে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে (আজাদ মসজিদ) নেওয়া হয়। আসরের নামাজের পর জানাজা হয় সেখানে। এরপর সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় পরিবার ও সহকর্মীদের উপস্থিতিতে বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে শায়িত হন গাজী মাজহারুল আনোয়ার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রকাশ পেলো ‘অপারেশন সুন্দরবন’র প্রথম গান
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬