মশার হটস্পট চিহ্নিত করে অভিযান চালাতে হবে চসিককে

ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগের বিস্তার রোধে স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৮ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগের বিস্তার রোধে মশার ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক)। একইসঙ্গে ওয়ার্ড পর্যায়েও রোগ প্রতিরোধে কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রতিমাসে তার রিপোর্ট পাঠাতে হবে স্থানীয় সরকার বিভাগে। চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় কমিটির অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য আয়োজিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের নগর উন্নয়ন শাখা থেকে গত বুধবার চসিককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওই নির্দেশনায় চট্টগ্রামসহ দেশের সকল জেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের জন্যও করণীয় ঠিক করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘জানুয়ারি হতে ডিসেম্বর, মশকনিধন বছর ভর’ স্লোগানে দেশে প্রথমবার একটি জাতীয় নির্দেশিকা প্রণয়ন করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। যা গত ২৫ আগস্ট প্রকাশিত হয়েছে। ওই নির্দেশিকার আলোকে সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, আওতাধীন দপ্তর সংস্থা জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম তদারকির জন্য অতিরিক্ত সচিবের (নগর উন্নয়ন-১) সভাপতিত্বে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির সভা গত ২১ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত সচিব (নগর উন্নয়ন-১) মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভার কার্যবিবরণী প্রকাশিত হয় গত ৭ নভেম্বর। সর্বশেষ গত বুধবার তা চসিকসহ স্থানীয় সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়া হয়।
গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের জন্য নির্ধারিত করণীয় হচ্ছে- ডেঙ্গু রোগীদের যথাযথ ঠিকানা উল্লেখ করে সঠিক তথ্য স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণ করতে হবে। সনাক্তকৃত ডেঙ্গু রোগীর বাসস্থান সম্বলিত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে হটস্পট চিহ্নিত করবে এবং সেখানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখবে। জাতীয় নির্দেশিকায় ওয়ার্ড পর্যায়ে ‘ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন ও পুনর্গঠন করতে বলা হয়েছে সিটি কর্পোরেশনগুলোকে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ওয়ার্ডকে দশ বা প্রয়োজনীয় সংখ্যক ছোট ছোট সাব-জোন ব্লকে বিভক্ত করে নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য শিক্ষক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয় করতে হবে।
এ বিষয়ে পর্যালোচনা সভা সিদ্ধান্ত দিয়েছে, ওয়ার্ড পর্যায়ে গঠিত কমিটির কার্যক্রম পর্যালোচনা ও তদারকি করতে হবে সিটি কর্পোরেশনকে। প্রতিমাসে তাদের গৃহীত সকল কার্যক্রমের প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণ করতে হবে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদকে বছরব্যাপী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং স্থানীয় সরকার বিভাগে এ বিষয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মো. মোবারক আলী দৈনিক আজাদীকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আমরা সবসময় অনুসরণ করি। মশক নিধন কার্যক্রম চলমান আছে বলেও জানান তিনি। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত একটি সভায় নতুন করে মশার ওষুধ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে মাদ্রাসা শিক্ষক ও এক শিশুর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধঘুমধুমে বিজিবি চোরাকারবারি গোলাগুলি