মরদেহে বুলেটের ৩টি ছিদ্র ছিল : আদালতে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক

সিনহা হত্যা মামলা ।। ওসি প্রদীপসহ খুনীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ

কক্সবাজার প্রতিনিধি | বুধবার , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ

মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মরদেহের পেছনে তিনটি বুলেটের ছিদ্র ছিল; যার মধ্যে কোমরের উপর ১টি ও পিঠের মাঝামাঝি ২টি। ছিদ্রগুলো আগ্নেয়াস্ত্রের ফায়ারের কারণে সৃষ্টি হয়েছে। কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মরদেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. রনধীর দেব নাথ (৪২) গতকাল মঙ্গলবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে এ জবানবন্দী দেন। কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। পরে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রনধীর দেব নাথ জবানবন্দীতে আরো বলেন, সিনহার মরদেহের উল্লেখযোগ্য ক্ষতের মধ্যে বামগলায় ৪টি সমান্তরাল অগভীর ক্ষত ছিল। যার নিচের মাংসপেশি ছেঁড়া ছিল। যা ধারালো প্রান্ত বিশিষ্ট কঠিন কোনো বস্তু দিয়ে আঘাতের মাধ্যমে করা হয়েছে। ডা. রনধীর দেব নাথ ২০২০ সালের ১ আগস্ট কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন পেয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরীর নির্দেশে ময়নাতদন্ত করে রিপোর্ট তৈরি করেন বলে আদালতে জানান।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর চার্জশিটের অপর সাক্ষী হাফেজ জহিরুল ইসলামের (৩৫) সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। হাফেজ জহিরুল ইসলাম বাহারছরার মারিশবুনিয়ার হাজী আবদুর রহমানের ছেলে। তিনি স্থানীয় দক্ষিণ মাথাভাঙ্গা জামে মসজিদের ইমাম। এ নিয়ে এই মামলার মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন করা হল। আজ বুধবার তৃতীয় দফায় টানা তিনদিনের সাক্ষ্যগ্রহণের তৃতীয় দিন।
মেজর (অব:) সিনহা হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম জানান, সাক্ষ্যগ্রহণের আগে মামলার ১৫ আসামিকেও কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়।
হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ : মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ সকল আসামির ফাঁসির দাবিতে কক্সবাজারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বিক্ষুব্ধ লোকজন। মানববন্ধনে বক্তারা ওসি প্রদীপকে ঠাণ্ডা মাথার খুনি বলে আখ্যায়িত করে বলেন, টাকার জন্য তিনি ধরে ধরে মানুষ খুন করতেন। মাদকের সম্রাজ্য ও অপরাধীচক্র নিয়ন্ত্রণ ছিল তার হাতে।
বাংলাদেশ সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রদীপের জুলুম, নির্যাতনসহ নানামুখী অপরাধের চিত্র উপস্থাপন করেন সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তাফা খান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় ৮ ইউপিতে চেয়ারম্যান হলেন যারা
পরবর্তী নিবন্ধনৈতিকতার সভায় দুই ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা